হার্দিক পাণ্ড্য। — ফাইল চিত্র।
পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ক্যালেন্ডার বলছে, আর ১১ মাস সময় বাকি। ফলে প্রতিটি দেশই এক দিনের বিশ্বকাপের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। আগামী বছরের বিশ্বকাপের আগে তাদের সূচি মোটামুটি ঠাসাই। সব ঠিক থাকলে, এই ১১ মাসে অন্তত ৩৩টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। কী ভাবে?
৫ টি-টোয়েন্টি: বিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়
এখন এক দিনের সিরিজ় চলছে। এর পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় শুরু হয়ে যাবে। সেখানে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। হার্দিক পাণ্ড্য-সহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য তালিকায় থাকা সবাই খেলবেন।
৩ টি-টোয়েন্টি: বিপক্ষ আয়ারল্যান্ড
ক্যারিবিয়ান সফর শেষ হলেই আয়ারল্যান্ডে যাবে ভারত। সেখানে তিনটি ম্যাচ খেলবে তারা। অগস্টের মাঝামাঝি হবে সেই সিরিজ়। তবে হার্দিকরা সম্ভবত সেই সিরিজ়ে খেলবেন না। তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া হবে। নেতৃত্ব দিতে পারেন সূর্যকুমার যাদব। টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় সারির দল খেলানো হতে পারে।
৫ টি-টোয়েন্টি: বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া
এক দিনের বিশ্বকাপ শেষ হলেই ভারতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। নভেম্বরে হওয়ার কথা ৫টি ম্যাচ। সেই ম্যাচে ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের খেলার কথা। যদি না তাঁরা বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
৩ টি-টোয়েন্টি: বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা
বছরের শেষ দিকে রামধনুর দেশে যাবে ভারত। সেখানে তিনটি ফরম্যাটেই সিরিজ় খেলবে তারা। প্রথমে টেস্ট এবং তার পরে এক দিনের সিরিজ় হবে। একদম শেষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়। ফলে সেখানেও বিশ্বকাপের সম্ভাব্য দলে থাকা ক্রিকেটারদের দেখে নেওয়া যেতে পারে।
৩ টি-টোয়েন্টি: বিপক্ষ আফগানিস্তান
প্রোটিয়া সফর থেকে দেশে ফিরলেই অপেক্ষা করে থাকবে আফগানিস্তান। তাদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ় রয়েছে। বিশ্বকাপের আগে এটিই ভারতের শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ়।
আইপিএল ২০২৪
প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হিসাবে রয়েছে আইপিএল। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটারেরাই নয়, বিশ্বের সব ক্রিকেটারেরাই এই মঞ্চকে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসাবে দেখবেন। আইপিএল একটু আগে শুরু হতে পারে। ফিট থাকলে প্রত্যেক ক্রিকেটারের কাছেই অন্তত ১৪টি ম্যাচে খেলার সুযোগ থাকছে, যদি না বোর্ড সূচিতে কোনও বদল আনে।