আইপিএল ট্রফি হাতে হার্দিক পাণ্ড্য। সঙ্গে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে পারে ৪ জুন। এর ফলে আইপিএলের সময় পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণত আইপিএল শুরু হয় মার্চের শেষ দিকে অথবা এপ্রিলের শুরুতে। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য এ বার এগিয়ে আনা হতে পারে আইপিএলের দিন।
এই বছর আইপিএল শুরু হয়েছিল ৩১ মার্চ। ফাইনাল হয়েছিল ২৯ মে। অর্থাৎ প্রায় দু’মাস ধরে আইপিএল হয়েছিল। আইসিসি-র ক্যালেন্ডারে আইপিএলের জন্য আড়াই মাসের সময় রাখা থাকে। ১০ দলের এই টি-টোয়েন্টি লিগ যদি পরের বছরও একই সময়ে হয় তা হলে বিশ্বকাপের আগে মাত্র পাঁচ দিন পাবে দলগুলি। সে ক্ষেত্রে অনেক দল তাদের সেরা ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অনুমতি দেবে না। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সেটা কিছুতেই মেনে নেবে না। ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরাও দু’মাস ধরে আইপিএল খেলার ধকল নিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামতে রাজি হবে বলে মনে হয় না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে অন্তত দু’সপ্তাহ নিজেদের প্রস্তুতির জন্য চাইবে দলগুলি। তাই আইপিএল যদি মার্চের মাঝামাঝি সময়ে শুরু করে ১৫ মে-র মধ্যে শেষ করে দেওয়া হয়, তা হলে সুবিধা হবে সব দলের। আইপিএলে খেলা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখে নিজেদের দল নির্বাচনও করতে পারবে তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইপিএল যে বড় ভূমিকা নেয়, তা আগেও দেখা গিয়েছে। সেই কারণে আইপিএল আগে হয়ে গেলে সুবিধা হবে বিভিন্ন দেশের। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটারেরাও।
পরের বছর বিশ্বকাপ হবে আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে। একটি সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ৪ জুন থেকে শুরু হবে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফাইনাল হতে পারে ৩০ জুন। আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ১০টি মাঠে ২০টি দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে। আমেরিকার কোন কোন মাঠে খেলা হবে, আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) সেগুলি ঠিক করে ফেলবে। প্রথম বার সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। আমেরিকার ফ্লোরিডায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে। চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ় বনাম ভারত সিরিজ়ের দু’টি ম্যাচ সেখানে হবে। এ ছাড়াও মরিসভিলে, ডালাস এবং নিউ ইয়র্কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৫টি দল ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। ক্রমতালিকার বিচারে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, নিউ জ়িল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করে। আয়োজক দেশ হিসাবে খেলবে আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে বিশ্বকাপের টিকিট জোগাড় করে ফেলেছে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং পাপুয়া নিউ গিনি। আরও পাঁচটি দল যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে উঠে আসবে।