(বাঁদিকে) কেন উইলিয়ামসন এবং রোহিত শর্মা। ছবি: আইসিসি।
বিশ্বকাপে একের পর এক নজির গড়ছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। বিরাট কোহলি, মহম্মদ শামিদের পারফরম্যান্সের দৌলতে বুধবার আরও একটি নজির তৈরি হয়েছে। তবে সেই নজির কোনও ক্রিকেটার গড়েননি। নজির তৈরি হয়েছে মোবাইলে বিশ্বকাপ সম্প্রচারের ক্ষেত্রে। দর্শক সংখ্যার নিরিখে গত এক মাসে চার বার নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছে ডিজ়নি প্লাস হটস্টার।
বুধবার ভারত-নিউ জ়িল্যান্ডের প্রথম সেমিফাইনাল হটস্টারে দেখেছেন ৫ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ। এর আগে কোনও ক্রিকেট ম্যাচ এত মানুষ দেখেননি মোবাইলে। এক দিনের ক্রিকেটে কোহলির ৫০তম শতরান, শ্রেয়স আয়ারের শতরান এবং শামির ৭ উইকেটে দুরন্ত স্পেল। সব মিলিয়ে বুধবার ক্রীড়াপ্রেমীরা চোখ সরাতে পারেননি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতীয় দলের আগ্রাসী ক্রিকেট হাসি ফুটিয়েছে সংস্থার কর্তাদের মুখে। হটস্টারের প্রধান সাজিত শিবানন্দন বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দল শুধু বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জিতে নিজেদের রেকর্ড ভাঙেনি। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরাও কখনও এত বেশি সংখ্যায় হটস্টারে খেলা দেখেননি। অভূতপূর্ব ঘটনা। সমর্থকদের অবিশ্বাস্য আবেগ এই প্রতিযোগিতার মধ্যে আমাদের চার বার নতুন রেকর্ড গড়তে সাহায্য করেছে। খেলার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন মান নির্ধারণ করেছে এ বারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘মোট ৫ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ হটস্টারে ভারত-নিউ জ়িল্যান্ডের সেমিফাইনাল দেখেছেন। এই সংখ্যা অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জ়িল্যান্ডের মোট জন সংখ্যার দেড় গুণ। এই মাইলফলক শুধু প্রযুক্তির জয় নয়। আমাদের প্রতি দর্শকদের আস্থারও প্রমাণ। সামনেই বিশ্বকাপের ফাইনাল। আমরা গোটা দেশের মানুষকে আবার একত্রিত করে খেলাধুলার ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরি করব।’’
গত এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপের সব খেলাও সরাসরি সম্প্রচার করছে হটস্টার। হাতে স্মার্ট ফোন থাকলে যে কোনও জায়গা থেকেই খেলা দেখতে পাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কাছাকাছি টেলিভিশন না থাকলেও চিন্তা করতে হচ্ছে না তাঁদের।