হার্দিক পাণ্ড্য। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হার্দিক পাণ্ড্যের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কাঁধে চেপে অনায়াসে জিতেছে ভারত। এ বার সামনে পাকিস্তান। কঠিন ম্যাচের আগেও ভারতের অন্যতম ভরসা সেই পাণ্ড্যই। আইপিএলে খারাপ পারফরম্যান্সের পর বিশ্বকাপ পাণ্ড্যের কাছে ছিল কঠিন পরীক্ষা। প্রথম দিনের পরীক্ষায় প্রথম হয়েই মাঠ ছেড়েছেন হার্দিক। আর তার পরেই নিজের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক।
আইপিএলে গুজরাত ছেড়ে মুম্বই দলে ফিরেছিলেন অধিনায়ক হয়ে। কিন্তু এ বারের আইপিএল ভাল যায়নি হার্দিকের। দলগত ভাবেও মুখ থুবড়ে পড়েছে আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল। সামগ্রিক ভাবেই সময়টা বিশেষ ভাল যায়নি হার্দিকের। ব্যাট এবং বল— দু’জায়গাতেই চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন। অধিনায়কত্বেও দাগ কাটতে পারেননি। তাই বিশ্বকাপ তাঁর কাছে কঠিন পরীক্ষা। সকাল দেখেই যেমন গোটা দিনের আন্দাজ করা যায়, তেমনই প্রথম ম্যাচে হার্দিককে দেখে খুশি বিশেষজ্ঞরা। আয়ারল্যান্ড ম্যাচে বোলারদের নেতৃত্ব দেন হার্দিক। নিজের কোটার ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে তিন-তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। তাঁর ফিটনেসেরও প্রশংসা চলছে সর্বত্র। এই প্রেক্ষিতে রহস্য ফাঁস করলেন হার্দিক। জানিয়ে দিলেন, কোন টোটকায় মাঠে আবার ছড়ি ঘোরাচ্ছেন তিনি।
বিসিসিআইয়ের তরফে দেওয়া একটি ভিডিয়ো বার্তায় হার্দিক নিজের কথা জানিয়েছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করেন, তাহলে সবই ঠিক থাকে। নিজের সঙ্গে আরও সময় কাটাও, তাহলে নিজে কী চাও তা বুঝতে পারবে। সেই অনুযায়ী সর্বস্ব দাও। আসলে, ৩০-এর হার্দিককে সামলানো ১৬-এর হার্দিকের চেয়ে অনেক সহজ। সেই সময়ের সাপেক্ষে আমি অনেক বদলে গিয়েছি। তাই, আমি মাঠে নিজে প্রচুর বোলিং করেছি, দীর্ঘ সময় কাটিয়েছে ব্যাট হাতে। তার পরেই অনুভব করি যে, আমি ঠিক কী করতে পারি।’’
পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েও নিজের মতামত দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘‘ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের জন্য বরাবরই অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন। আমার মনে হয়, খেলাটা শুরু হয়ে যায় হোটেল থেকেই। আমি ওই ম্যাচটি খেলতে উদগ্রীব হয়ে আছি। দলগত ভাবে আমরা একটা লক্ষ্য স্থির করেছি। ম্যাচের দিন মাঠে নেমে সবাই মিলে সেই লক্ষ্য ছোঁয়ার চেষ্টা করব।’’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার্দিকের রেকর্ড বরাবরই ভাল। শেষ বার ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার্দিক বল হাতে মাত্র ৩০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট। ব্যাট হাতে করেছিলেন ৩৭ বলে ৪০ রান। এ বার কী হবে?