স্যালি বার্টন। ছবি: এক্স (টুইটার)।
বিশ্ব ক্রিকেটে নজির তৈরি করলেন জিব্রাল্টারের স্যালি বার্টন। মহিলা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেললেন ৬৬ বছর ৩৩৪ দিন বয়সে। এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁকে খেলাল জিব্রাল্টার।
যে বয়সে অধিকাংশ মানুষ নাতি-নাতনিদের নিয়ে অবসর সময় কাটানোর কথা ভাবেন, সেই বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন শুরু করলেন বার্টন। প্রায় ৬৭ বছরের ক্রিকেটার অবশ্য নিজেকে প্রৌঢ় মনে করেন না। কেউ তাঁকে প্রবীণ বললেও আপত্তি করেন। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর বার্টন বলেছেন, ‘‘আমার অভিধানে প্রবীণ বা প্রৌঢ় বলে কোনও শব্দ নেই। এটা ঠিক, কখনও ভাবিনি ৬০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাব। তবে আমার অভিষেক প্রমাণ করে দিল, থামার কোনও বয়স নেই।’’ কবে অবসর নিতে চান ক্রিকেট থেকে? এই প্রশ্নে ক্ষুব্ধ বার্টন বলেছেন, ‘‘অবসর কেন? এই তো সবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন শুরু করলাম। যত দিন পারব খেলে যাব।’’
এর আগে সবচেয়ে বেশি বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের নজির ছিল পর্তুগালের আকবর সৈয়দের। তিনি ২০১২ সালে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৬ বছর ১২ দিন বয়সে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। জিব্রাল্টারের বার্টন তাঁর রেকর্ড ভেঙে দিলেন। তাঁর এই কীর্তি ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল।
বার্টন তাঁর দলের দ্বিতীয় প্রবীণতম ক্রিকেটারের থেকে ৩০ বছরের বড়। তাতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। দেশের জার্সি পরে মাঠে নামতে পারায় খুশি বার্টন। তিন নাতি-নাতনির ঠাকুমার লক্ষ্য আপাতত চুটিয়ে ক্রিকেট খেলা।