বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান দলে বিতর্ক থামছেই না। এমনিতেই ভারতে আসার ভিসা না পাওয়ায় কিছুটা বিষণ্ণ গোটা দল। তার মধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন সে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর মতে, বাবর আজমকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে শাহিন আফ্রিদিকে দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন শাহিদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের এক সাংবাদিক এই কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। এক্স হ্যান্ডলে তিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন বোলার মহম্মদ আসিফের একটি মন্তব্য পোস্ট করেছেন। সেখানে আসিফকে উদ্ধৃত করে লেখা, “বাবর আজম ছাড়া পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প এখন আমাদের হাতে নেই। শাহিদ আফ্রিদি খুব চেষ্টা করছে যাতে শাহিন আফ্রিদিকে অধিনায়ক বানানো যায়। কিন্তু কাজটা সহজ নয়।”
কিছু দিন আগেই শাহিদ আফ্রিদির মেয়েকে বিয়ে করেছেন শাহিন। বিশ্বকাপে তিনিই পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র। তবে এটাও উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর বাবরের সঙ্গে শাহিনের সম্পর্কে ফাটল ধরা পড়েছে।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলের দাবি করেছিল, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর সাজঘরে ফিরে বাবর গোটা দলের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেখানে নাম না করে কিছু ক্রিকেটারের উদ্দেশ্যে তাঁদের পারফরম্যান্স বাড়ানোর কথা বলেন। বাকিরা চুপ করে থাকলেও শাহিন থেমে থাকেননি। তিনি বাবরকে বলেন, যাঁরা ভাল ব্যাট এবং বল করেছেন তাঁদের অন্তত প্রশংসা করতে। কথার মাঝখানে শাহিন থামিয়ে দেওয়ায় খুশি হননি বাবর। তিনি পাল্টা বলেন, দলের কারা ভাল খেলেছে তিনি জানেন।
শাহিন আবার এই উত্তরে খুশি হতে পারেননি। তিনি পাল্টা বাবরকে কিছু বলেন। শুরু হয়ে যায় দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই রিজ়ওয়ান ছুটে আসেন। এগিয়ে আসেন কোচও। তখনকার মতো ঝামেলা থামে। কিন্তু দলের প্রধান বোলার এবং অধিনায়কের ঝামেলা থেকে বিপদের গন্ধ পাচ্ছিলেন কেউ কেউ। শুধু তাই নয়, একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি করেছিল, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর থেকে বাবর নাকি নিজেকে গোটা দলের থেকে একটু দূরত্বে রাখছেন। সেটা টিম হোটেলেই হোক বা পাকিস্তানে ফেরার বিমানে। সতীর্থদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করছেন না।
পরে জল্পনা ওড়ানোর চেষ্টা করেন বাবর নিজেই। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শাহিনের বিয়ে হয় আফ্রিদির মেয়ের সঙ্গে। সেখানে অতিথি হিসেবে অনেকের সঙ্গে ছিলেন বাবরও। পাক দলের দুই ক্রিকেটারকে আলিঙ্গনবদ্ধ হতে দেখা যায়। তার আগে শাহিন সমাজমাধ্যমে একটি ছবি তুলে দেন। যেখানে দেখা যায়, বাবর এবং তিনি মুখোমুখি বসে আছেন। সামনে একটা দাবার বোর্ড। এর সঙ্গে একটি মাত্র শব্দ লেখেন শাহিন শাহ: পরিবার! মনে করা হচ্ছে, এই টুইটের মাধ্যমে পাক পেসার বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁর সঙ্গে দলের অধিনায়কের কোনও সমস্যা নেই। দু’জনের সম্পর্ক ঠিকই আছে।