রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
আগামী ১৪ অক্টোবর আমদাবাদে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ। আইসিসি এই ম্যাচ এক দিন এগিয়ে এনেছে। তা পরিস্থিতির সুরাহা তো হয়ইনি। উল্টে সমর্থকদের চাপ আরও বেড়েছে। যাঁরা এখনও বিমানের টিকিট কাটতে পারেননি, তাঁদের মাথায় হাত। বিমান ভাড়া বেড়েছে ৪১৫ শতাংশ। আকাশ দেড় ঘণ্টায় যে দূরত্ব অতিক্রম করা যায়, তার জন্যে গুনতে হচ্ছে ৪৪ হাজার টাকা।
আমদাবাদের হোটেল এবং গেস্ট হাউসে এমনিতেই ঠাঁই নাই অবস্থা। ফলে সেই জায়গাগুলি সবার আগে বুক হয়ে গিয়েছে। অনেকে বিমানের টিকিট পরে কাটবেন ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু এখন পরিকল্পনা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। অনেকেই ঠিক করেছেন, আমদাবাদের কাছাকাছি কোনও জায়গায় বিমানে নেমে সেখান থেকে গাড়ি করে বাকি রাস্তা পাড়ি দেবেন। তাতেও বিধি বাম। বিমান সংস্থাগুলি এমন পরিকল্পনা বুঝে যাওয়ার পরেই আমদাবাদের আশপাশের এলাকার বিমানের দাম বেড়ে গিয়েছে।
সাধারণত ২৫-৩০ আগে চণ্ডীগড়, জয়পুর, লখনউ, মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর মতো জায়গা থেকে আমদাবাদের টিকিট কাটলে ১২-১৫ হাজারের মধ্যে যাতায়াতের টিকিট হয়ে যেত। কিন্তু এখন আমদাবাদের টিকিট কাটতে গেলে ওই নির্দিষ্ট দিনটির জন্যে ১০০ থেকে ৪০০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
আমদাবাদের এক ভ্রমণ পরিচালক বলেছেন, “আমদাবাদে ম্যাচের দিন আসতে গেলে খরচ করতেই হবে। আমরা এমন কিছু হোটেল চিনি যাঁরা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সময় প্রতি রাতের ভাড়া ৮০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। আমদাবাদের উদ্দেশে বিমানের সংখ্যা খুব বেশি নেই। তাই বিমানের দামও চড়চড় করে বাড়ছে।”
আমদাবাদ থেকে আকাশপথে চণ্ডীগড়ের দূরত্ব আনুমানিক ৯০০ কিলোমিটার। বিমানে দেড় ঘণ্টার বেশি লাগার কথা নয়। সেই পথেরই বিমান ভাড়া ৪৪ হাজার টাকা। আমদাবাদগামী বিমানের ভাড়া জয়পুর থেকে ৩২ হাজার, লখনউ থেকে ৩৮ হাজার, হায়দরাবাদ থেকে ৪০ হাজার, দিল্লি থেকে ২৫ হাজার, কলকাতা থেকে ৩৩ হাজার টাকা রয়েছে।