Syed Kirmani

Wriddhiman Saha: ওরা সচিনকেও ছাড়েনি, আমাকেও বাদ দেয়, ঋদ্ধি বিতর্কে মুখ খুললেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

তাঁর বিরুদ্ধেও সংবাদপত্রে ভুল খবর ছাপা হত বলে জানিয়েছেন কিরমানি। তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাল খেললেও সংবাদপত্রে লেখা হত আমার ফর্ম খারাপ। স্লিপে দাঁড়িয়ে কেউ ক্যাচ ছাড়লে সংবাদপত্রে আমার ছবি ছেপে তলায় লেখা থাকত আমি ক্যাচ ছেড়েছি। এ সব আমি অনেক দেখেছি। আগেও এগুলো হত। এখনও হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:০৫
Share:

ঋদ্ধি বিতর্ক চলছেই ফাইল চিত্র।

ঋদ্ধিমান সাহা জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ও তার পর এক সাংবাদিকের তাঁকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বিতর্ক এখনও চলছে। তার মধ্যেই মুখ খুললেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচকদের হাত থেকে বাদ যাননি সচিন তেন্ডুলকরও। এমনকি তাঁকেও অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন কিরমানি।

Advertisement

এই মুহূর্তে উইকেটরক্ষক হিসাবে ঋদ্ধিকে সবার উপরে রেখেছেন কিরমানি। তিনি বলেন, ‘‘আমার মতে বর্তমানে ঋদ্ধি এখনও ভারতের সেরা উইকেটরক্ষক। কিন্তু নির্বাচক কমিটি, ম্যানেজমেন্ট হয়তো অন্য কিছু ভেবেছে। ঋদ্ধির প্রতিযোগীর সংখ্যাও অনেক।’’

ঋদ্ধিমানের বয়সের জন্যই নির্বাচকরা তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে মনে করেন কিরমানি। তিনি বলেন, ‘‘ওর বয়স ওর বিপক্ষে গেছে। আমিও এর শিকার হয়েছি। ওরা সচিনকেও ছাড়েনি। কিন্তু আমার মনে হয় ৩০-এর পর থেকে এক জন ক্রিকেটার আরও বেশি দক্ষ হয়। কেরিয়ারের সব থেকে ভাল সময়ে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ঋদ্ধিকে। সবাই ক্রিকেটারদের বয়স নিয়ে কথা বলে। কিন্তু কেউ প্রশাসকদের বয়স নিয়ে কিছু বলে না।’’

Advertisement

এই প্রসঙ্গে তাঁর নিজের কথাও বলেছেন কিরমানি। তিনি বলেন, ‘‘আমার কেরিয়ারের সব থেকে ভাল সময়ে আমাকেও বাদ পড়তে হয়েছিল। তখন ভারতে আমার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল না। আমি ৮৮টি টেস্ট খেলেছি। কত এক দিনের ম্যাচে দলকে উদ্ধার করেছি। ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। সে সব কেউ মনে রাখেনি। এমনকি আমার রাজ্য দল কর্নাটকও আমাকে দলে নেয়নি। তাই আমি রেলওয়ের হয়ে খেলি।’’

তাঁর বিরুদ্ধেও সংবাদপত্রে ভুল খবর ছাপা হত বলে জানিয়েছেন কিরমানি। তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাল খেললেও সংবাদপত্রে লেখা হত আমার ফর্ম খারাপ। স্লিপে দাঁড়িয়ে কেউ ক্যাচ ছাড়লে সংবাদপত্রে আমার ছবি ছেপে তলায় লেখা থাকত আমি ক্যাচ ছেড়েছি। এ সব আমি অনেক দেখেছি। আগেও এগুলো হত। এখনও হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement