(বাঁ দিকে) গ্রেগ চ্যাপেল এবং বীরেন্দ্র সহবাগ। —ফাইল চিত্র।
অনেক সময়ই দেশীয় কোচেদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ উঠে থাকে। তাঁরা নাকি পক্ষপাতদুষ্ট হন। নিজেদের পছন্দের ক্রিকেটারদের বেশি সুযোগ করে দেন। কিন্তু বীরেন্দ্র সহবাগ মনে করেন, একই কাজ করে থাকেন বিদেশি কোচেরাও। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন গ্রেগ চ্যাপেলের নাম। সহবাগ এও ফাঁস করেছেন, তাঁকে অধিনায়ক করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দু’মাসের মধ্যে দল থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন চ্যাপেল।
একটি সাক্ষাৎকারে সহবাগ জানিয়েছেন, তিনি দলের অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারের কাছে জানিতে চেয়েছিলেন, জন রাইটের পরে কেন এক জন ভারতীয় কোচকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না? জবাব পেয়েছিলেন, ভারতীয় কোচেরা পক্ষপাতদুষ্ট হন। সহবাগ বলেছেন, ‘‘ওই সিনিয়র ক্রিকেটাররা অনেকটা সময় ভারতীয় দলের সঙ্গে কাটিয়েছিল। ওরা বলেছিল, দেশি কোচেদের নিজস্ব পছন্দের ক্রিকেটার থাকে। সেই তালিকায় জায়গা না পেলে বড় সমস্যা হয়ে যায়।’’
সহবাগ আরও বলেছেন, ‘‘সবাই মনে করত, বিদেশি কোচ এলে এই পক্ষপাতের ব্যাপারটা উঠে যাবে। বিদেশি কোচেরা এক জন ক্রিকেটারের দক্ষতা অনুযায়ী তাকে বিচার করবে। কিন্তু এই ধারণাটাও ঠিক ছিল না। বিদেশি কোচেদেরও পছন্দ-অপছন্দের ক্রিকেটার ছিল।’’
এর পরেই নিজের ক্রিকেট জীবনের মতো আগ্রাসী ভঙ্গিতে ‘বল’ উড়িয়ে দিয়েছেন সহবাগ। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বলেছেন, ‘‘বিদেশি কোচেরাও কিন্তু নাম দেখত। সেটা সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণ— যে কেউ হতে পারে।’’ এর পরে আরও একটা বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেছেন সহবাগ। বলেছেন, ‘‘গ্রেগ চ্যাপেল কোচ হয়ে আসার পরে প্রথমেই বলেছিলেন, ‘সহবাগ দলের অধিনায়ক হবে।’ অধিনায়ক হওয়ার কথা ভুলে যান। দু’মাসের মধ্যে আমি দলের বাইরে চলে গিয়েছিলাম।’’
এর পরে সহবাগ একটা কথা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে সব ক্রিকেটার খেলছেন, তাঁদের জন্য কোচের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় এমন কারও, যে দলের ক্রিকেটারদের মানসিকতা বুঝে তাঁদের মধ্যে থেকে সেরা খেলাটা বার করে আনতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে গ্যারি কার্স্টেনের নাম করেছেন বীরু।
সহবাগ বলেছেন, ‘‘সেরা কোচ ছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। আমাকে অনুশীলনে ৫০টা বল খেলতে দিতেন। তার পরে বলতেন, হয় বাড়ি চলে যেতে, না হলে হোটেলে ফিরে যেতে।’’ যোগ করেন, ‘‘রাহুল দ্রাবিড় ২০০ বল খেলত, সচিন খেলত ৩০০ বল, গম্ভীর ৪০০। কার্স্টেন জানতেন, কোন ক্রিকেটারের কী প্রয়োজন।’’