(বাঁ দিকে) মার্নাস লাবুশেন এবং মহম্মদ সিরাজ (ডান দিকে) উত্তেজনার সেই মুহূর্তে। ছবি: এক্স (টুইটার)।
পার্থ টেস্টে প্রথম দিন সকাল থেকে বোলার এবং ব্যাটারদের লড়াই উপভোগ করেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। সারা দিন এক পেশে ভাবে দাপট দেখিয়েছেন বোলারেরা। দু’দলের ব্যাটারেরাই বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। ২২ গজে টান টান উত্তেজনার মধ্যেই হল মহম্মদ সিরাজ এবং মার্নাস লাবুশেনের বাগ্যুদ্ধ। সিরাজের সঙ্গে তাল মেলালেন বিরাট কোহলিও।
ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে অস্বস্তিতে ছিলেন লাবুশেন। যশপ্রীত বুমরা, হর্ষিত রানাদের বলে একাধিক বার পরাস্ত হয়েছেন। অস্ট্রেলীয় ব্যাটারকে স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছিলেন না সিরাজও। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসাকে চাপে রাখার চেষ্টা করছিলেন সিরাজ। ২২ গজের গতি এবং বাউন্স কাজে লাগাচ্ছিলেন সিরাজ। তেমনই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলটি খাটো লেংথের করেন সিরাজ। সময় মতো বলের লাইনে ব্যাট নিয়ে যেতে পারেননি লাবুশেন। বল লাগে তাঁর থাই প্যাডে।
শটটি খেলার পর লাবুশেন ক্রিজ়ের খানিকটা বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। তা দেখে ছুটে যান সিরাজ। পিচের পাশে পড়া বলটিতে পায়ে শট মেরে উইকেট ভাঙার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি শট মারার আগেই লাবুশেন বলটিকে ব্যাট দিয়ে কিছুটা দূরে সরিয়ে দেন। খেলার পরও বলের আঘাতে উইকেট ভাঙতে পারে, এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটারেরা ব্যাট দিয়ে বল সরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু বল উইকেটের দিকে না গেলে ব্যাটারেরা সেটিকে সরিয়ে দিতে পারেন না। লাবুশেন তেমনই করেছিলেন। বল উইকেটের দিকে না যাওয়া সত্ত্বেও তিনি ব্যাট দিয়ে সরিয়ে দেন। তা দেখে মেজাজ হারান ছুটে আসা সিরাজ। দেখা যায় তিনি উত্তপ্ত ভাবে লাবুশেনকে কিছু বলছেন। লাবুশেনও তাঁকে উত্তর দেন। এর মধ্যেই চলে আসেন কোহলি। তিনি বল হাতে নিয়ে উইকেটের বেল ফেলে দেন। তবে লাবুশেন তখন ক্রিজ়ের মধ্যে থাকায় আউট হননি। উত্তেজনার সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
লাবুশেন চাপের মুখে এ দিন অস্ট্রেলিয়াকে ভরসা দিতে পারেননি। ৫২ বল খেলে ২ রান করেছেন। এর আগে কখনও টেস্ট ক্রিকেটে ৫০ বল খেলে এত কম রান করেননি তিনি। ২০২৩ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ বলে ৫ রান করেছিলেন। সিরাজ ভাল বল করেছেন পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে। শুক্রবার ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।