স্টুয়ার্ট ল। ছবি: সমাজমাধ্যম।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমেরিকা দলের কোচ ছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতা শেষের পরে তাঁর বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য ক্রিকেটারেরা সরব হয়েছিলেন। ছাঁটাই হতে হয়। সেই স্টুয়ার্ট ল এ বার চাকরি চেয়ে সমাজমাধ্যমে আবেদন করলেন। জানিয়েছেন, তাঁর একটি চাকরি দরকার।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলা ক্রিকেটার অতীতে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের হয়ে কোচিং করিয়েছেন। আমেরিকাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতেও সাহায্য করেন। তিনিই পেশা সংক্রান্ত একটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে কোচ বা সহকারী কোচের চাকরি চেয়ে আবেদন করেছেন।
বিশ্বকাপের পরেই চাকরি খুইয়েছিলেন ল। সাত মাসের বেশি চাকরি করতে পারেননি। ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারেরা আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থাকে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, বেছে বেছে তাঁদের বিরুদ্ধেই খারাপ আচরণ করেছেন ল। নিজে মিথ্যা কথা বলে ক্রিকেটারদের মধ্যে অবিশ্বাস, বিক্ষোভ তৈরি করছেন। কিছু কিছু ক্রিকেটারকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছিলেন। বিশেষ করে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণ করছিলেন তিনি।
ল-এর বিরুদ্ধে সংস্থাকে চিঠি লিখেছিলেন ৭-৮ জন বর্ষীয়ান ক্রিকেটার। বেশির ভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তার মধ্যে অধিনায়ক মোনাঙ্ক পটেলও ছিলেন। ক্রিকেটারদের অভিযোগ ছিল, কিছু কিছু খেলোয়াড়কে আক্রমণ করার ফলে দলের পরিবেশ খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীনও এমন ঘটনা ঘটেছিল। ল-এর মিথ্য কথার কারণে ক্রিকেটারদের মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল।
মোনাঙ্কের অভিযোগ ছিল, ল-এর চোখেমুখে মিথ্যা কথা রয়েছে। তিনি ছাড়াও হরমিত সিংহ, মিলিন্দ কুমারের মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার চিঠিতে সই করেছেন। আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থা জানিয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।