ক্রিকেটকে কি বিদায় ইংরেজ অধিনায়কের ফাইল ছবি
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টের পরেই সীমিত ওভারের সিরিজ খেলবে ভারত। সেই টেস্টে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসাবে অইন মর্গ্যানকে না-ও দেখা যেতে পারে। সে দেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে পারেন মর্গ্যান। জস বাটলারকে এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক হিসাবে দেখা যেতে পারে। টি-টোয়েন্টিতেও তাঁকেই অধিনায়ক করা হবে কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত নয়।
সাম্প্রতিক কালে একেবারেই ছন্দে দেখা যায়নি মর্গ্যানকে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সিরিজে যখন বাটলার, জেসন রয়রা তাণ্ডবনৃত্য করেছেন, তখন মর্গ্যান দু’টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে শেষ ২৮টি ম্যাচে মাত্র দু’টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। নেদারল্যান্ডস সিরিজের আগেই তিনি বলেছিলেন, “যদি মনে করি ভাল খেলতে পারছি না বা দলের জন্যে অবদান রাখতে পারছি না, তা হলে খেলা ছেড়ে দেব।” নিজের কথাই হয়তো রাখতে চলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এ বারের আইপিএল নিলামেও তাঁকে কেউ কেনেনি। আগে খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। শেষ দেড় বছর অধিনায়ক ছিলেন।
অবসর নিলেও মর্গ্যান ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটে কালজয়ী অধিনায়ক হিসাবেই থেকে যাবেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে অ্যালেস্টেয়ার কুকের থেকে নেতৃত্ব নিয়েছিলেন তিনি। সেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড খুব খারাপ ভাবে শেষ করে। তার পরেই দলের ভোল বদলে যায়। রক্ষণাত্মক খোলস ছেড়ে ইংল্যান্ড অনেক বেশি আক্রমণাত্মক, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে শুরু করে। মর্গ্যান পাশে পান রয়, বাটলার, জনি বেয়ারস্টোর মতো ক্রিকেটারকে। ফলও মেলে। ২০১৯-এ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বার এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে খেললেও মর্গ্যান আদতে আয়ারল্যান্ডের মানুষ। ডাবলিনের পাহাড়ি এলাকা ফিঙ্গালে জন্ম। তবে ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার। ক্রিকেট খেলার জন্য ছোট থেকেই মর্গ্যান ছিলেন ভীষণ জেদি, তবে লক্ষ্য ছিল স্থির। মানসিক ভাবেও শক্তিশালী ছিলেন। তাঁর খেলাতেও সেটা বার বার দেখা গিয়েছে। ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০,৮৫৯ রান করেছেন তিনি।