শতরানের পর উচ্ছ্বাস বেয়ারস্টোর। ছবি: এএফপি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টেই ব্যাটিং বিপর্যয় ইংল্যান্ডের। মাত্র ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে লড়াইয়ে ফেরাল জনি বেয়ারস্টোর লড়াকু শতরান। অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডের স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছয় উইকেটে ২৬৮।
কেমার রোচ, জেডান সিলসদের দাপটে ইংল্যান্ডের শুরুর দিকের ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস (৪) এবং জাক ক্রাওলে (৮) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই এ দিন অভিষেক হওয়া বাঁ হাতি ওপেনার লিসের পা উইকেটের সামনে পেয়ে যায় রোচের আউট সুইং (বাঁ হাতির ক্ষেত্রে ইন সুইং)। ক্রাওলে সিলসের বলে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন জোসুয়া ডি’সিলভার দস্তানায়। তিন নম্বরে নেমে সুবিধে করতে পারেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটও (১৩)। তাঁকে বোল্ড করেন রোচ। চার নম্বরে নামা ডান লরেন্সও (২০) জেসন হোল্ডারের বলে জারমেইন ব্ল্যাকউডের হাতে ধরা পড়েন।
আদৌ লড়াই করার মতো রান ইংল্যান্ড তুলতে পারবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৪৮ রানে ৪ উইকেট চলে যাওয়ায়। ইংল্যান্ড শিবিরে ফিরে অ্যাশেজের আতঙ্ক। অথচ টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রুটই। এর পর দলের ইনিংসের হাল ধরেন বেন স্টোকস এবং বেয়ারস্টো। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে দুই ব্যাটারকেই জমাট দেখাচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচের ৪০ তম ওভারে স্টোকসকে (৩৬) বোল্ড করে দেন সিলস। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ওঠে ৬৭ রান।
বেয়ারস্টে অবশ্য নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বাঁধেন বেন ফোকসের সঙ্গে। হোল্ডারের বলে ফোকস (৪২) আউট হওয়ার আগে দু’জনের প্রচেষ্টায় যোগ হয় ৯৯ রান। দিনের শেষে ১০৯ রানে অপরাজিত আছেন বেয়ারস্টো। বাইশ গজে তাঁর সঙ্গী ক্রিস ওকস। তিনি অপরাজিত রয়েছেন ২৪ রানে।
ক্যারিবিয়ান বোলারদের তিন জন দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সফলতম হোল্ডার। ১৬ ওভার বল করে মাত্র ১৫ খরচ করে দু'টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সিলস ৬৪ রানে এবং রোচ ৭১ রানে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন।