বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।
পিছিয়ে পড়েও জিতেছে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে হারের পর বাকি দুই টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা। তৃতীয় টেস্টে আলোচনায় রাওয়ালপিন্ডির পিচ। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ফ্যান চালিয়ে ও হিটার জ্বালিয়ে পিচ আরও শুকিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে পিচ আরও মন্থর হয়েছে। ইংল্যান্ডের ২০টি উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানের দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলি। খেলা শেষে পিচ নিয়ে মুখ খুলেছেন বেন স্টোকস। অবশ্য কোনও অভিযোগ করেননি তিনি। উল্টে তাঁর জবাব, পাকিস্তান ঠিক সেই কাজটাই করেছে যা প্রতিটি দেশ নিজেদের মাঠে করে।
খেলা শেষে পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে স্টোকস বলেন, “পিচ নিয়ে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। ঘরের মাঠে সব দলই চায় সুবিধা নিতে, ম্যাচ জিততে। পাকিস্তানও ঠিক সেটাই করেছে। জেতার জন্য যা করা দরকার সেটা ওরা করেছে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরাও নিজেদের মাঠে এটাই করতাম। সব দেশ করে।”
প্রথম টেস্ট জেতার পর যে বাকি দুই টেস্টে হারতে হবে তা ভাবতে পারেননি স্টোকস। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে পাকিস্তান তাদের থেকে ভাল খেলেছে। তিনি বলেন, “ওরা ঘরের পরিবেশ কাজে লাগিয়েছে। ওরা আমাদের থেকে ভাল ক্রিকেট খেলেছে। প্রথম টেস্টে আমরা ভাল খেলেছিলাম। কিন্তু পরের দুই টেস্টে পারিনি। আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারিনি। তবে এগিয়ে গিয়েও সিরিজ় হেরে খারাপ লাগছে।”
সিরিজ়ের শুরুটা অবশ্য অন্য ভাবে হয়েছিল। মুলতানে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৮২৩ রান করেছিল ইংল্যান্ড। তৃশতরান করেছিলেন হ্যারি ব্রুক। দ্বিশতরান করেছিলেন জো রুট। ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। পরের টেস্টেই দলে বদল করে পাকিস্তান। বাদ পড়েন বাবর আজ়ম। ১০ মাস পরে নেওয়া হয় সাজিদ ও নোমানকে। এই দুই স্পিনার পরের দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের ৪০টি উইকেটের মধ্যে ৩৯টি নিয়েছেন। ব্যাট হাতে সিরিজ়ে ব্যর্থ স্টোকসও। প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। পরের দুই টেস্ট মিলিয়ে করেছেন ৫৩ রান। এই হার আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার ধরন নিয়ে। যদিও সেই বিষয়ে কিছু বলেননি স্টোকস।