শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
এগিয়ে আসছে দিন। আইপিএলের দলগুলি কোন পাঁচ জন ক্রিকেটারকে রেখে দিতে চায়, তা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই)। বাকিদের মতো ব্যস্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষও। আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। গত বারের চ্যাম্পিয়নেরা কোন ছ’জন (রাইট টু ম্যাচ-সহ) ক্রিকেটারকে রেখে দেবে, তা নিয়ে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ।
কেকেআর সূত্রে খবর গত শুক্রবার পর্যন্ত শ্রেয়সের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেননি কেকেআর কর্তারা। কর্তারা মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলতে ব্যস্ত অধিনায়ককে বিরক্ত করতে চাননি। কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি করে আলোচনা শুরু করেছেন অধিনায়কের সঙ্গে। কেকেআরের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘‘শুক্রবার পর্যন্ত দু’পক্ষের কোনও কথাই হয়নি। নানা রকম জল্পনা চললেও কেকেআর কর্তারা শ্রেয়সের সঙ্গে কথাই বলেননি। রিটেনশন নিয়ে অধিনায়কের সঙ্গে রবিবার প্রথম কথা বলেছেন কেকেআর কর্তারা।’’
যে পাঁচ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা হবে সেই তালিকায় শ্রেয়সের নাম নেই। যদিও কেকেআরের পরিকল্পনায় ভীষণ ভাবে রয়েছেন আইপিএল জয়ী অধিনায়ক। শ্রেয়সের নাম নিলামে দেওয়া হবে। নিলাম থেকে তাঁকে কিনে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শ্রেয়স যাতে যথাযথ দাম পান, তা নিশ্চিত করতেই এই পদ্ধতি নিচ্ছেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ।
কেকেআরের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তি আরও বলেছেন, ‘‘শ্রেয়সের নেতৃত্বে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কেকেআর। আগে দিল্লি ক্যাপিটালসেরও অধিনায়ক ছিল। আইপিএলে অধিনায়ক শ্রেয়সের দক্ষতা প্রমাণিত। তাঁকে হাতছাড়া করতে চায় না কেকেআর। আইপিএলে শ্রেয়সের চাহিদা যথেষ্ট ভাল। নিলামে একাধিক দল তাঁকে পেতে ঝাঁপাবে। তবু কেকেআর কর্তৃপক্ষ শ্রেয়সকে নিয়ে কিছুটা ঝুঁকি নিচ্ছেন।’’
অন্তত তিনটি দল শ্রেয়সকে পেতে চায়। তাঁকে নিয়ে দলের মিডল অর্ডার শক্তিশালী করাই লক্ষ্য। প্রয়োজনে দলকে নেতৃত্বও দিতে পারবেন। এই তথ্য অজানা নয় কেকেআর কর্তৃপক্ষের। প্রয়োজনে শ্রেয়সের জন্য রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) নিয়মের সুযোগ নেবে শাহরুখ খানের দল। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, রিঙ্কু সিংহ এবং হর্ষিত রানার নাম এক রকম চূড়ান্ত করে ফেলেছেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। পঞ্চম ক্রিকেটার হিসাবে রেখে দেওয়া হতে পারে বরুণ চক্রবর্তীকে। লড়াইয়ে রয়েছেন বেঙ্কটেশ আয়ার এবং নীতীশ রানাও। ভাবনায় রয়েছেন মিচেল স্টার্ক, ফিল সল্টেরাও। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে দু’টি আরটিএম জন্য সওয়াল করেছিলেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। বোর্ড সেই দাবি না মানায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কারণ গত বারের চ্যাম্পিয়ন দলের যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটারকে ধরে রাখার কথা ভাবা হয়েছে।
শ্রেয়সকে কী ভাবে রাখা হবে, তা নিয়েই মূলত তাঁর সঙ্গে আলোচনা করছেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। বুধবারের মধ্যে অধিনায়কের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা সেরে ফেলতে চান তাঁরা।