ধরমশালার মাঠ। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপের শুরুতেই তৈরি হল বিতর্ক। ধরমশালায় শনিবার খেলা ছিল বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের। সেই মাঠের আউটফিল্ড নিয়ে তৈরি হল একাধিক প্রশ্ন। বড় চোট পাওয়া থেকে বেঁচে গেলেন একাধিক ক্রিকেটার। বাকি ম্যাচগুলি কী করে সেই মাঠে আয়োজন করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ দু’দলের ক্রিকেটার থেকে কোচেরা মাঠের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সবচেয়ে বড় চোট পেতে পারতেন আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান। শাকিব আল হাসানের একটি সুইপ শট বাঁচাতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই তাঁর হাঁটু ঘুরে যায়। এর পর একটি বাউন্ডারি বাঁচাতে আজ়মত ওমরজ়াইও বড় চোট পাওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান। এ ছাড়া দু’দলের অনেক ক্রিকেটারেরই ফিল্ডিং করতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে।
আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট সাফ জানিয়েছেন, মাঠের পরিস্থিতির কারণে তাঁদের হারতে হয়নি ঠিকই। কিন্তু বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার জন্যে ধরমশালা আদৌ উপযুক্ত কি না, সেটা ভেবে দেখতে হবে আয়োজকদের। দেশের সব মাঠের আউটফিল্ড আইসিসি-র খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। বলেছেন, “আপনি যদি ডাইভ দেওয়ার ব্যাপারেই অনিশ্চিত থাকেন তা হলে খেলবেন কী করে? চোটের ভাবনা মাথায় নিয়ে খেলা যায় না। ভাগ্য ভাল মুজিব চোট পায়নি। আমি নিশ্চিত আগামী দিনে এ ব্যাপারে নজর দেওয়া দরকার।”
বল-ব্যাটে ভাল খেলা বাংলাদেশের মেহেদি হাসান বলেন, “মাঠ থেকে খুব ভারী মনে হয়েছে। বল যাচ্ছিল না। কিন্তু আউটফিল্ডকে সব দোষ দিতে রাজি নই।”
আগামী ২২ নভেম্বর এই মাঠেই ভারত বনাম নিউ জ়িল্যান্ডের ম্যাচ রয়েছে। সেই ম্য়াচের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের তৃতীয় টেস্ট ধরমশালায় হওয়ার কথা থাকলেও তা সরানো হয় ইন্দোরে। পরে জানা যায়, আউটফিল্ডে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়েছে। তাই অবস্থা ভাল নয়। তা সত্ত্বেও কেন সেই মাঠে খেলা দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।