সমালোচনার মুখে রুট। —ফাইল ছবি
অ্যাশেজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও টেস্ট সিরিজ হার। জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডদের টেস্ট দল থেকে বাদ দিয়েও পরিবর্তন হয়নি। কী হল ইংল্যান্ড ক্রিকেটের? উত্তর খুঁজছেন সে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। একই সঙ্গে জো রুটকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন ইংল্যন্ডের প্রাক্তন অধিনায়করা। যদিও রুট নিজে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ভাবছেন না।
টেস্ট ক্রিকেটে এখন আর শক্তিশালী দলগুলির মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধরেন না বিশেষজ্ঞরা। তাদের বিরুদ্ধেও প্রত্যাশিত ফল আসেনি। তার উপর তৃতীয় তথা সিরিজের শেষ টেস্টে ১০ উইকেটে হারের লজ্জা। তাতেও হাল ছাড়তে নারাজ রুট। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দল কিছু ক্ষেত্রে দুরন্ত ক্রিকেট খেলেছে বলেও দাবি তাঁর। সতীর্থদের থেকে যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছেন বলেই মনে করছেন রুট। সিরিজ হারের পরেও নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলেছেন। রুটের বক্তব্য, ‘‘আমি খুবই আগ্রহী। আমার মনে হয় দলের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছি। দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। কোনও কিছুই পরিবর্তন হয়নি।’’
ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হার অবশ্য হজম হচ্ছে না ইংরেজদের। মাইকেল আর্থারটন, নাসের হুসেন, মাইকেল ভনদের মতো ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়করা চান এখনই নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক রুটকে। পর পর সিরিজ হারে ক্ষুব্ধ আর্থারটন বলেছেন, ‘‘রুট নেতৃত্ব দিতে অক্ষম। ও নিজেও সেটা ভাল জানে।’’ অ্যাশেজে পরাজয়ের পরেও অধিনায়ক রুটের অপসারণ চেয়েছিলেন আর্থারটন। এবার নিজের কলামে তিনি লিখেছেন, ‘‘পাঁচটা সিরিজ হয়ে গেল একটাতেও আমরা জয় পেলাম না। শেষ ১৭টা টেস্টের মাত্র একটা জিতেছি। দলটার একটা শোচনীয় সময় চলছে।’’ রুট অধিনায়ক হিসেবে যা পাওয়ার পেয়ে গিয়েছেন বলেও নিজের কলামে মন্তব্য করেছেন আর্থারটন।
গত পাঁচ বছরে ৬৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ২৬টিতেই হেরেছেন রুট। তাঁর আগে রয়েছেন শুধু স্টিফেন ফ্লেমিং (২৭) এবং গ্রেম স্মিথ (২৯)। রুটের সমালোচনায় সরব হয়েছেন আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেনও। তিনি চাঁচাছোলা ভাযায় প্রশ্ন তুলেছেন, অ্যান্ডারসন, ব্রডদের বাইরে রেখে কী ভাবে টেস্ট খেলতে গেল রুট? ও কি শুধু নির্বাচকদের খুশি করে চলতে চাইছে? তিনি বলেছেন, ‘‘রুট বিশ্বমানের ব্যাটার। ছেলে হিসেবেও দারুণ। কিন্তু ওকে আমার কখনই অধিনায়ক হিসেবে দারুণ মনে হয়নি। দল নিয়ে ভাবে বলেও মনে হয় না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘রুট এবং পল কলিংউড ওয়েস্ট ইন্ডিজে নিজেদের পছন্দের দল নিয়ে যেতে চেয়েছিল। যাদের ওরা পছন্দ করে। কিন্তু সেটা টেস্ট জেতার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। দলে কিছু কঠিন চরিত্রকেও দরকার হয়। অধিনায়ক বা কোচের পক্ষে কঠিন হলেও তাদের সামলানো প্রয়োজন। দশ জন অনুগতকে নিয়ে জেতা যায় না।’’