ছন্দে থাকা ক্রিকেটারদের প্রথম একাদশে না দেখে অসন্তুষ্ট লক্ষ্মীরতন শুক্ল। —ফাইল চিত্র
ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারতের প্রথম একাদশে বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং মুকেশ কুমারকে নেওয়া হয়েছে। বাদ গিয়েছেন সুদীপ ঘরামি এবং আকাশ দীপ। রঞ্জিতে ধারাবাহিক ভাবে রান করেছেন সুদীপ। আকাশ দীপও উইকেট নিয়েছেন নিয়মিত। ছন্দে থাকা ক্রিকেটারদের প্রথম একাদশে না দেখে অসন্তুষ্ট লক্ষ্মীরতন শুক্ল।
ইরানি কাপের ম্যাচ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। সেখানে ২০২১-২২ মরসুমের সেরা মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলছে অবশিষ্ট ভারত। সেই দলে বাংলার চার ক্রিকেটারকে নেওয়া হয়েছিল। প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন অভিমন্যু এবং মুকেশ। শিবসুন্দর দাস, সলিল আঙ্কোলা, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীধরন সরথের নির্বাচক কমিটিকে একহাত নিয়ে বাংলার কোচ লক্ষ্মী বলেন, “অদ্ভুত দল নির্বাচন। বাংলার হয়ে ছন্দে থাকা সুদীপ এ বারের রঞ্জিতে ৮০০-র উপর (৮০৩) রান করেছে। আকাশ ৪০-এর উপর (৪১) উইকেট নিয়েছে। ওদের বাদ দিয়ে ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারতের প্রথম একাদশ তৈরি করা হয়েছে।”
সুদীপ এ বারের রঞ্জিতে সর্বাধিক রানের বিচারে ষষ্ঠ স্থানে। ১০ ম্যাচে ৮০৩ রান করা সুদীপের গড় ৫০.১৮। রয়েছে তিনটি শতরান এবং পাঁচটি অর্ধশতরান। প্রশ্ন আরও উঠছে কারণ যে ব্যাটাররা সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা এ বারের রঞ্জিতে সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। প্রথম একাদশে রয়েছেন যশ ঢুল, বাবা ইন্দ্রজিৎরা। অন্য দিকে, এ বারের রঞ্জিতে আকাশকে দলে না নিলেও রয়েছেন নবদীপ সাইনি। যিনি এ বারের রঞ্জিতে একটি ম্যাচও খেলেননি। দল নির্বাচনের এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত দেখে অবাক লক্ষ্মী। তিনি বলেন, “এটা খুব হতাশাজনক সিদ্ধান্ত। প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের কাঁধ ঝুলে যায় এমন সিদ্ধান্তের কারণে। নির্বাচকদের এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত।”
২০২১-২২ মরসুমের চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলা হচ্ছে। সেই কারণে নির্বাচকরা কি সেই মরসুমে রঞ্জিতে ভাল খেলা ক্রিকেটারদের নিয়েছেন? এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু সেই মরসুমের পারফরম্যান্স অনুযায়ী শাহবাজ় আহমেদের অবশ্যই সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। সেই মরসুমেও রঞ্জিতে নবদীপের পারফরমান্স ছিল না। প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া অলরাউন্ডার অতীত শেঠ সেই মরসুমে ৩ ম্যাচে ১৩টি উইকেট নেন এবং ১০২ রান করেন। তিনি দলে রয়েছেন।