Chetan Sharma

শুধুই ক্যামেরাকাণ্ডের জের, না কি চেতনের ইস্তফার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ?

ক্যামেরাকাণ্ডের পর গোটা দলের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন চেতন। কোচ রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত, বিরাট কোহলি বা হার্দিক পাণ্ড্য, কেউ তাঁকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৫
Share:

চেতনের পদত্যাগের নেপথ্যে আর কী কারণ রয়েছে? ফাইল ছবি

স্টিং অপারেশন বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার তিন দিনের মধ্যে মুখ্য নির্বাচকের পদ থেকে সরে গেলেন চেতন শর্মা। বোর্ড সচিব জয় শাহকে পাঠিয়ে দিলেন ইস্তফাপত্র। গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এনে এমনিতেই বোর্ডের চুক্তিবিরুদ্ধ কাজ করেছেন তিনি। ইডেন গার্ডেন্সে রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল দেখতে এসেছিলেন। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। তবে এখনও ইডেনমুখো হননি।

Advertisement

চেতন বাকি যা বলেছিলেন, তার মধ্যে নতুন কিছু ছিল না। কিন্তু ভারতের সেরা বোলারের বিরুদ্ধে ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন নিয়ে জোর করে খেলার অভিযোগ তুলেছিলেন। এ-ও বলেছিলেন, প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্মানহানি করতে চেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কারণ, এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব চলে যাওয়ার সৌরভই দায়ী ছিলেন বলে মনে করতেন কোহলি।

মূলত দু’টি কারণে চেতনকে ইস্তফা দিতে হল। ক্যামেরাকাণ্ডের পর গোটা দলের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কোচ রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত, বিরাট কোহলি বা হার্দিক পাণ্ড্য, কেউ তাঁকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। চিন্তা ছিল যে এই ঘটনার পর কোন মুখে কোচ, ক্রিকেটারদের সঙ্গে নির্বাচনী বৈঠক করবেন চেতন। তার আর দরকার পড়বে না।

Advertisement

দ্বিতীয়ত, এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বুধবার বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক হয় চেতনের। সেখানে নিজের সীমা লঙ্ঘন করে অনেক কথাই বলেন। তার পর থেকেই মুখ্য নির্বাচক হিসাবে তাঁর আসন টলোমলো ছিল। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “চেতনের পদ চলে যাওয়া ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ক্রিকেটাররা বিশ্বাস হারালে নির্বাচকের আর কিছু করার থাকে না।”

চেতন ইস্তফা দেওয়ায় বোর্ডের আপাতত চার নির্বাচক থাকলেন। তাঁরা হলেন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সলিল আঙ্কোলা, এস শরথ এবং শিবসুন্দর দাস। শোনা যাচ্ছে, শিবসুন্দরকেই অন্তর্বর্তিকালীন মুখ্য নির্বাচকের দায়িত্ব সামলাতে বলা হয়েছে। ভারতের হয়ে ২৩টি টেস্ট খেলা শিবসুন্দর কিছু দিন আগেই নির্বাচক কমিটিতে সুযোগ পান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকার সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছিলেন শিবসুন্দর। ওড়িশার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলতেন তিনি। ভারতের হয়ে চারটি এক দিনের ম্যাচও খেলেছিলেন শিবসুন্দর। টেস্টে দু’টি শতরান-সহ ১৩২৬ রান করেছিলেন তিনি। নির্বাচক কমিটিতে থাকা বাকি সদস্যদের থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা কিছুটা বেশি শিবসুন্দরের। সেই কারণেই তাঁর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement