সৌরভ এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ইগোর লড়াই ছিল বলে দাবি করেন চেতন শর্মা। —ফাইল চিত্র
রঞ্জি ফাইনালের প্রথম দিন ইডেনে ছিলেন ভারতের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। শুক্রবার সকালে তিনি পদত্যাগ করেন। তাঁর জায়গায় নির্বাচক প্রধানের দায়িত্ব সামলাতে চলেছেন শিবসুন্দর দাস। আগামী দিনে তাঁর হাতে দায়িত্বও তুলে দিতে পারে বোর্ড।
ভারতের হয়ে ২৩টি টেস্ট খেলা শিবসুন্দর কিছু দিন আগেই নির্বাচক কমিটিতে সুযোগ পান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকার সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছিলেন শিবসুন্দর। ওড়িশার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলতেন তিনি। ভারতের হয়ে চারটি এক দিনের ম্যাচও খেলেছিলেন শিবসুন্দর। টেস্টে দু’টি শতরান-সহ ১৩২৬ রান করেছিলেন তিনি। নির্বাচক কমিটিতে থাকা বাকি সদস্যদের থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা কিছুটা বেশি শিবসুন্দরের। সেই কারণেই তাঁর উপর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
চেতন কিছু দিন আগে এক সংবাদমাধ্যমের গোপন ক্যামেরায় বলেন যে, ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলেন। যশপ্রীত বুমরা এমনটা করেছিলেন বলেও জানান চেতন। সৌরভ এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ইগোর লড়াই ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। বিরাট এবং রোহিত শর্মার মধ্যে দলে বিভাজনের কথাও বলেন চেতন। যা বোর্ড ভাল ভাবে নেবে না বলেই মনে করা হয়েছিল। বোর্ডের তরফে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করা হয়েছে যে, চেতনকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়নি। যদিও অনেকের মনে হয়, চেতন ইস্তফা না দিলে তাঁকে সরিয়েও দিতে পারত বোর্ড। দলের অন্দরের কথা এই ভাবে ফাঁস করে দেওয়া বোর্ড ভাল ভাবে নেয়নি।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্যে আসে গোপন ক্যামেরায় চেতনের মুখ খোলার ভিডিয়ো। প্রধান নির্বাচক চেতনকে স্টিং অপারেশনের ওই ভিডিয়োয় বলতে শোনা যায়, “সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। সৌরভ এক সময় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিরাট সেই সময় নেতা ছিলেন। কে বড় তা নিয়ে একটা লড়াই ছিল।”