ব্রেট লি এবং সচিন তেন্ডুলকর। ফাইল ছবি।
সচিন তেন্ডুলকরের অসংখ্য ভক্তের অন্যতম ব্রেট লি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার আগে সচিনেই সই নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন লি। কিন্তু পরে সচিনকে সামনে পেয়েও পরিবর্তন করেন নিজের সিদ্ধান্ত।
ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ব্যাটারদের অন্যতম ধরা হয় সচিনকে। আড়াই দশকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম আক্রম, মুথাইয়া মুরলিথরন, অ্যালান ডোনাল্ড, শোয়েব আখতার, জেমস অ্যান্ডারসনদের মতো বোলারদের সামলেছেন সচিন। কিন্তু তাঁকে সবথেকে বেশি ১৪বার আউট করেছেন লি। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই জোরে বোলারই সচিনের বিরাট ভক্ত। বার বার সচিনকে সাজঘরে ফেরালেও ভারতীয় ব্যাটারকে নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা কমেনি এতটুকু। লি নিজেই জানিয়েছেন সচিনকে নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা।
১৯৯৯ সালে তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সিরিজ শুরুর আগে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে সচিনের বিরুদ্ধে প্রথম বল করার সুযোগ পান লি। সেই সিরিজেই সিডনিতে লি-র টেস্ট অভিষেক। সেই ম্যাচেই আবার দুরন্ত শতরান করেছিলেন সচিন। লি বলেছেন সিরিজের আগের প্রস্তুতি ম্যাচের কথা।
লি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘‘১৯৯৯ সালে প্রথম সচিনকে সামনে থেকে দেখি। আমরা তখন ক্যানবেরায়। সফরকারী ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে খেলা ছিল প্রধানমন্ত্রী একাদশের। সেই দলে ছিলাম আমি। প্রস্তুতি ম্যাচে সচিনও খেলেছিল। সচিনকে ব্যাট করতে নামতে দেখেই খুব উত্তেজিত হয়েছিলাম। তখন উপলব্ধি করলাম মহান সচিনের বিরুদ্ধে বল করার সুযোগ পাব। কিন্তু সেই ম্যাচের আগে আমার আসল লক্ষ্য ছিল নিজের সংগ্রহে রাখার জন্য সচিনের একটা সই নেওয়া। ঠিক করে রেখেছিলাম সচিনের হাতে ক্রিকেট বল তুলে দিয়ে বলব, ‘বন্ধু তুমি কি অনুগ্রহ করে এটায় একটা সই করে দেবে আমাকে।’ কিন্তু পরে মনে হল, বিষয়টা ভাল দেখাবে না। আমার সম্পর্কে প্রথম ধারনাটা ভাল হবে না।’’
সচিনকে প্রথম বল করার দিনটা এখনও মনে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার। নিজের ক্রিকেট জীবনের একটা বিশেষ দিন বলেই মনে করেন তিনি। পরের ১৩ বছর বাইশ গজে সচিনের সঙ্গে ব্যাট-বলের দ্বৈরথ দারুণ উপভোগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লি আরও বলেছেন, ‘‘ছোট থেকে ওর খেলা দেখেই বড় হয়েছি। বল হাতে ওকে কী ভাবে আউট করব সেটাই ভাবতাম। সেই ম্যাচে খুব খারাপ বল করিনি। সচিনের উইকেটটাও পেয়েছিলাম। পর ওর সঙ্গে করমর্দন করেছিলাম। অসাধারণ একজন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হওয়ায় দারুণ লেগেছিল।’’