ম্যাকালামের সঙ্গে বেন স্টোকস। —নিজস্ব চিত্র।
যে বাজ়বল ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে, সেই বিশেষ শব্দবন্ধকে আদৌ পছন্দ করেন না ব্রেন্ডন ম্যাকালাম! সেই অজানা কাহিনি ফাঁস করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।
জিয়ো সিনেমাজ়-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টোকস বলেছেন, ‘‘এই বিশেষ শব্দটা তৈরি করেছে সংবাদমাধ্যম। কিন্তু আমরা সেই বিষয়টা থেকে নিজেদের সবসময় দূরে রাখার চেষ্টা করি। গত দুই বছর লাল বলের ক্রিকেট আমরা যে ভাবে খেলেছি, সম্ভবত সেটা দেখেই সংবাদমাধ্যম এই বিশেষ নামকরণ করেছে। কিন্তু আমরা কেউই সেটা খুব একটা পছন্দ করি না।’’
সেখানেই না থেমে স্টোকস আরও বলেছেন, ‘‘বাজ় (কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে এই নামেই ডাকা হয়) নিজেই এই শব্দটা শুনলে খুব বিরক্তি প্রকাশ করে। বলতে পারেন, ও শব্দটাকে ঘৃণা করে। তই যখনই এই শব্দটা উচ্চারিত হয়, আমরা এটা বোঝানোর চেষ্টা করি কী ভাবে ইংল্যান্ড ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিল।’’
ম্যাকালাম কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইংল্যান্ডের লাল বলের ক্রিকেট-দর্শন যে ভাবে আমূল বদলে গিয়েছে, তা নিয়ে চর্চা অবশ্য থামেনি। তারই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা কৃতিত্ব দিচ্ছেন নতুন অধিনায়ক স্টোকসকেও, যিনি মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। সেই আলোচনা কি তাঁর চাপ বাড়িয়ে দেয়নি? ‘বিগ বেন’ জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি আলাদা কোনও চাপ অনুভব করেন না। বরং তাঁর ব্যাখ্যা, চেন্নাই সুপার কিংসে থাকার সময়় মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং স্টিভন ফ্লেমিংয়ের যে দুর্দান্ত বোঝাপড়া দেখেছিলেন, সেটাকেই এখন নিজের মতো করে কাজে লাগাচ্ছেন।
স্টোকস বলেছেন, ‘‘নেতৃত্ব মোটেই আমার কাছে চাপ নয়। সিএসকে-তে খেলার সময় দেখতাম, যে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং স্টিভন ফ্লেমিংয়ের বোঝাপড়া কী অসাধারণ। যে আবেগ ওখানে দেখেছি, তা অতুলনীয়। মাঠের ধারে বসে সেই আবেগটা বোঝা যায় না।’’ যোগ করেন, ‘‘আমার এবং বাজ়ের (কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম) বোঝাপড়াও ভাল। বলা ভাল, ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের থেকে আমি সেটা শেখার চেষ্টা করেছি।’’