ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। ছবি: আইপিএল
আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্সের সংসার ছেড়ে ব্রেন্ডন ম্যাকালাম যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের শিবিরে। চলতি আইপিএল শেষ হলেই বেন স্টোকসদের কোচিং শুরু করবেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক। কোচ হিসেবে কেমন ম্যাকালাম? নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কেকেআর-এর প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
চলতি আইপিএলে কলকাতার পর পর পরাজয়ের পরেই প্রশ্ন উঠে যায় কোচ হিসেবে ম্যাকালামের ভূমিকা নিয়ে। কোচের সঙ্গে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার-সহ একাধিক ক্রিকেটারের মতপার্থক্যের খবর শোনা গিয়েছে। কার্তিক কিন্তু বলছেন অন্য কথা। কলকাতায় খেলার সময় তিনি ম্যাকালামের মধ্যে নেতিবাচক কিছু দেখেননি।
প্রাক্তন সতীর্থ তথা কোচ সম্পর্কে ম্যাকালাম বলেছেন, ‘‘ম্যাকালামের মধ্যে নেতিবাচক কিছু নেই। ওর সঙ্গে বহু সময় কাটিয়েছি। কখনই নেতিবাচক কিছু দেখিনি। ও এমন একজন মানুষ, যে সব কিছুই ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে করতে চায়। বেন স্টোকস আর ম্যাকালাম যখন এক সঙ্গে ইংল্যান্ডের ভাল বা উন্নতির জন্য চিন্তা করবে সেটা খুবই আকর্ষণীয় হবে।’’
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোচিং করানোর তেমন অভিজ্ঞতা নেই ম্যাকালামের। এই অনভিজ্ঞতা তাঁর কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কার্তিক নিজেকে সেই দলে রাখতে চান না। কেকেআর-এর প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘জানি বেশ কিছু নতুন বিষয় সামলাতে হবে ম্যাকালামকে। অন্য ধরনের সমস্যার সমাধানও করতে হবে। কলকাতা নাইট রাইডার্স বা ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কোচিং করানো আর লাল বলের ক্রিকেটের কোচিং এক নয় নিশ্চিত ভাবেই। মনে হয় ম্যাকালাম নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে বলেই এই কাজটা বেছে নিয়েছে।’’
অ্যাশেজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও টেস্ট সিরিজ হেরেছে ইংল্যান্ড। তাই প্রথম থেকেই চাপ থাকবে ম্যাকালামের উপর। সে কথা মেনে নিয়ে কার্তিক বলেছেন, ‘‘গত দু’বছর ওদের দলটার পারফরম্যান্স একদমই ভাল নয়। সেখান থেকে দলকে তুলে আনতে হবে। দরকারে নতুন করে দল তৈরি করতে হবে। ওর নিশ্চই কোনও ভাবনা রয়েছে।’’
ম্যাকালাম কোচ থাকলে সাজঘরের পরিবেশও যথেষ্ট হালকা থাকে বলে জানিয়েছেন কার্তিক। বলেছেন, ‘‘সাজঘরের পরিবেশ দারুণ থাকে। ক্রিকেট, মাচের পারফরম্যান্স নিয়ে যেমন গভীর ভাবনাচিন্তা চলে, তেমনই প্রচুর মজাও হয়। মানসিক ভাবে ম্যাকালাম খুব শক্তিশালী। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এখনকার ক্রিকেটারদের থেকেও বেশি শক্তিশালী। সাজঘরে কেউ অস্বস্তিতে থাকে না। ওকে দেখেই বাড়তি উৎসাহ পায় ক্রিকেটাররা।’’