পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৪ বলে ২০ রান করেন কোহলী। শুরুতে তাঁর মারা ড্রাইভ, ফ্লিক দেখে স্বস্তি ছিল আরসিবি সমর্থকদের মুখে। জয়ের জন্য কোহলীর চওড়া ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোপ পড়ে দুর্ভাগ্যের। কাগিসো রাবাডার বল কোহলীর গ্লাভস ছুঁয়ে থাই প্যাডে লেগে আকাশে ওঠে। ক্যাচ ধরেন রাহুল চাহার।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আউট হয়েছেন কোহলী ফাইল চিত্র
দুর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ছে না বিরাট কোহলীর। কখনও ম্যাচের শুরুতেই উইকেট দিচ্ছেন, কখনও বা রানআউট হচ্ছেন। আর যে ম্যাচে রান করার চেষ্টা করছেন সে ম্যাচে তাঁর আউট হওয়ার ধরন দেখে অবাক হচ্ছেন সকলে। কিন্তু কোহলীর এই দুর্ভাগ্য উপভোগ করেছে পঞ্জাব কিংস। যদিও সেই সঙ্গে তাঁর ভাগ্য ফেরার প্রার্থনাও করেছে তারা।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৫৪ রানে হারিয়েছে পঞ্জাব। তার পরেই তাদের তরফে নেটমাধ্যমে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে আউট হওয়ার পরে হতাশ হয়ে সাজঘরে ফিরছেন কোহলী। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘কোহলী, তোমার দুর্ভাগ্য উপভোগ করেছি। আশা করছি তাড়াতাড়ি তোমার ভাগ্য ফিরবে।’
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৪ বলে ২০ রান করেন কোহলী। শুরুতে তাঁর মারা ড্রাইভ, ফ্লিক দেখে স্বস্তি ছিল আরসিবি সমর্থকদের মুখে। পঞ্জাব কিংসের তোলা ২০৯ রান তাড়া করতে হলে কোহলীকে যে রান পেতেই হবে তা জানতেন সমর্থকরা। সেই আশা নিয়েই কোহলীর চওড়া ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোপ পড়ে দুর্ভাগ্যের। কাগিসো রাবাডার বল কোহলীর গ্লাভস ছুঁয়ে থাই প্যাডে লেগে আকাশে ওঠে। ক্যাচ ধরেন রাহুল চাহার। আউট হয়ে হতাশ কোহলী আকাশের দিকে তাকান। তিনি নিজেও যেন তাঁর দুর্ভাগ্য মানতে পারছিলেন না।
কোহলীর দুর্ভাগ্যের কথা শোনা গেল সুনীল গাওস্করের গলাতেও। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় গাওস্কর বলেন, “এটাই দুর্ভাগ্য। থাই প্যাডে সূক্ষ্ম ভাবে লাগল বলটা, সেটাই ড্রপ খেয়ে চলে গেল ফিল্ডারের হাতে। থাই প্যাডে না লাগলে হয়তো পৌঁছতই বলটা।” বলটা এতই সূক্ষ্ম ভাবে গ্লাভসে লেগেছিল যে মাঠের আম্পায়ার বুঝতেই পারেননি। তিনি নট আউটের সিদ্ধান্ত দেন। পঞ্জাব ডিআরএস নেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত বদল হয়।