অভিজ্ঞ সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে খেলানো হতে পারে ঋত্বিক রায়চৌধুরীকে। বাংলার সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের পেস-ত্রয়ী। ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপ শেষ ম্যাচে সফল। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও তাঁরাই বাংলার মূল শক্তি।
ফুরফুরে: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লড়তে তৈরি ঈশানরা। সিএবি
কটকের বরাবটি স্টেডিয়ামে যে উইকেটে বাংলা প্রথম ম্যাচ খেলেছিল, তার চেয়েও সবুজ একটি পিচে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে হবে অভিমন্যু ঈশ্বরনদের। সেই পিচে আগে কোনও ম্যাচ হয়নি। আজ, বৃহস্পতিবারই মরসুমের প্রথম ম্যাচ হতে চলেছে নতুন পিচে। বাংলা শিবিরের ধারণা, ম্যাচ জুড়ে পিচের চরিত্র পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সে ক্ষেত্রে দলে একজন স্পিনার অলরাউন্ডারের পরিবর্তে পেস বোলিং অলরাউন্ডার খেলানো হতে পারে।
শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। ব্যাট হাতে সে ভাবে নজর কাড়তে ব্যর্থ। বেশি ওভার বলও করতে হয়নি। তাঁর পরিবর্তে সায়নশেখর মণ্ডলকে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে কোচ অরুণ লালের। আরও একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলা দলে। অভিজ্ঞ সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে খেলানো হতে পারে ঋত্বিক রায়চৌধুরীকে। বাংলার সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের পেস-ত্রয়ী। ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপ শেষ ম্যাচে সফল। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও তাঁরাই বাংলার মূল শক্তি। সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলছিলেন, ‘‘শুরুটা ভাল করেছি। সেই ছন্দ ধরে রাখতে হবে আমাদের। হায়দরাবাদ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। হনুমা বিহারী খেলছে না বলে হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না।’’
চণ্ডীগড়ে বৃহস্পতিবার থেকে ভারতীয় টেস্ট দলের শিবির শুরু হচ্ছে। সেখানেই উড়ে গিয়েছেন হনুমা। বাংলার বিরুদ্ধে তাই খেলতে পারছেন না তিনি। কোচ অরুণ লাল যদিও বিপক্ষ নিয়ে ভাবছেন না। বলে দিলেন, ‘‘নিজেদের শক্তির উপরে নির্ভর করছি। বিপক্ষে কে খেলছে বা খেলছে না, তা নিয়ে একেবারেই চিন্তা করছি না।’’ শেষ ম্যাচের সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়ালেও আত্মতুষ্ট হওয়ার জায়গা নেই, জানিয়ে দিলেন কোচ। তাঁর কথায়, ‘‘শেষ ম্যাচে প্রত্যেকে চারিত্রিক কাঠিন্য দেখিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেটা এখন অতীত। নতুন প্রতিপক্ষ। নতুন পরীক্ষা দিতে হবে আমাদের। তার জন্য সবাই তৈরি।’’ হায়দরাবাদ তাদের প্রথম ম্যাচ জিতেছে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে। অধিনায়ক তন্ময় আগরওয়ালই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। বোলিং বিভাগে রয়েছেন রবি তেজার মতো অভিজ্ঞ জোরে বোলার।