উইকেট নিয়ে স্টোকসের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
ব্যাটে রান পাননি। কিন্তু বল হাতে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরালেন বেন স্টোকস। দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে তাঁর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ম্যাচের ছবিটা কিছুটা হলেও বদলে দিল। দিনের প্রথম দু’টি সেশন যদি দক্ষিণ আফ্রিকার হয় তা হলে শেষ সেশন গেল ইংল্যান্ডের দখলে। ইংল্যান্ডের ১৬৫ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৭ উইকেটে ২৮৯। দ্বিতীয় দিনের শেষে ১২৪ রানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম দিন বৃষ্টির জেরে মাত্র ৩২ ওভার খেলা হয়েছিল। তাতেই অবশ্য ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কারণ, সেই ৩২ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। করেছিল ১১৬ রান। দ্বিতীয় দিন আর ১৩ ওভার টিকে থাকতে পারল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে গেলেন বেন স্টোকসরা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৫ উইকেট নিলেন পেসার কাগিসো রাবাডা।
প্রথম দিন ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র অলি পোপ ভাল খেলেছিলেন। দিনের শেষে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিন দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। কিন্তু ৭৩ রানের মাথায় রাবাডার বলে বোল্ড হয়ে যান পোপ। ফলে ২০০ রান পর্যন্ত পৌঁছানোর আশা শেষ হয়ে যায় স্টোকসদের। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে জেমস অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দেন রাবাডা। টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১২ বার ৫ উইকেট উইকেট নিলেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভাল করেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগার ও সারেল এরউই। দু’জনে মিলে ঝুঁকিহীন ক্রিকেট খেলছিলেন। জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো অভিজ্ঞ বোলাররাও তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারেননি। দুই ওপেনার ৮৫ রানের জুটি বাঁধেন।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ধাক্কা দেন অ্যান্ডারসন। এলগারকে ৪৭ রানে মাথায় আউট করেন তিনি। এলগার আউট হওয়ার পরে কিগান পিটারসন ও আইডেন মার্করামের সঙ্গে জুটি বাঁধেন এরউই। পিটারসন ২৪ ও মার্করাম ১৬ রান করেন।
এক দিকে ভাল দেখাচ্ছিল এরউইকে। অর্ধশতরান করেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল শতরানও হয়ে যাবে। কিন্তু নতুন বল নেওয়ার পরে খেলার ছবি বদলে দিলেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের অধিনায়কের বাউন্সার সামলাতে না পেরে ৭৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরলেন এরউই। তার পরে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকেও আউট করলেন স্টোকস। ব্রড ফেরালেন ভেরেইনিকে। লর্ডসে টেস্টে ১০০টি উইকেট নিলেন ব্রড।
৬ উইকেট পড়ার পরে জুটি বাঁধেন কেশব মহারাজ ও মার্কো জানসেন। দ্রুত রান করেছিলেন তাঁরা। দুই ব্যাটারের মধ্যে ৭২ রানের জুটি হয়। সেই জুটিও ভাঙেন স্টোকস। ৪১ রানের মাথায় মহারাজকে আউট করেন তিনি।