Bangladesh Cricket Board

বাংলাদেশ ক্রিকেটে রদবদল, প্রাক্তন সভাপতি নাজমুল-সহ ১১ জন ডিরেক্টরকে সরাল ক্রিকেট বোর্ড

বিসিবির সংবিধান অনুযায়ী, পর পর তিনটি বা তার বেশি বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে ডিরেক্টর পদে থাকা যায় না। সেই নিয়ম মেনে ১১ জনকে অপরাসিত করা হয়েছে। ইস্তফা দিয়েছেন তিন অতিরিক্ত ডিরেক্টরও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৩
Share:

নাজমুল হাসান পাপন। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে রদবদল। ক্রিকেট বোর্ডের ১১ জন ডিরেক্টরকে এক সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রাক্তন সভাপতি নাজমুল হাসান এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল। সংস্থার সংবিধান মেনে ১১ জন ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিবি।

Advertisement

সংবিধান অনুযায়ী, পর পর তিনটি বা তার বেশি বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে বিসিবির ডিরেক্টর পদে থাকা যায় না। সেই নিয়ম মেনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নাজমুল-সহ ১১ জন ডিরেক্টরকে। গত বুধবার শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বছরের ১৫তম বৈঠক হয় বিসিবির। সেই বৈঠকে তিন জন অতিরিক্ত ডিরেক্টর নাইমুর রহমান, খালেদ মাহমুদ এবং এনায়েত হোসেন সিরাজের ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪ জন ডিরেক্টর পদ থেকে সরে গেলেন। অভিযোগ, অপসারিতেরা কেউ গত ৫ অগস্ট আওয়ামি লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিসিবির কোনও বৈঠকে উপস্থিত হননি। অনুপস্থিতির কোনও কারণও জানাননি তাঁরা। এ ছাড়া কয়েক মাস আগে বিসিবির এক জন ডিরেক্টরের মৃত্যু হয়। ফলে বিসিবির ডিরেক্টরের সংখ্যা ২৫ থেকে কমে ১০ হয়ে গেল।

অপসারিত ডিরেক্টরেরা প্রায় সকলেই বাংলাদেশের প্রাক্তন শাসক দল আওয়ামি লীগের সঙ্গে জড়িত বা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। যেমন প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি নাজমুল ছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রী। সফিউল আলম চৌধুরী ছিলেন আওয়ামি লীগের সাংসদ। এজেএম নাসির উদ্দিন ছিলেন চট্টোগ্রামের মেয়র। বিসিবির ডিরেক্টর পদে ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার একাধিক আত্মীয়। নাজমুলের এক আত্মীয়ও ডিরেক্টর পদে ছিলেন। অন্য দিকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement