মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের বার্ষিক চুক্তিতে বিরাট পরিবর্তন হতে চলেছে। সে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সব থেকে বেশি টাকা পেতে চলেছেন বাবর আজ়মেরা। যদিও বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে যাওয়া নিয়ে এখনও বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে ক্রিকেটারদের। তার মাঝেই ক্রিকেটারদের আয় চার গুণ বাড়িয়ে দিতে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
গত বার চুক্তির ধরন পাল্টেছিল বোর্ড। লাল এবং সাদা বলের ক্রিকেটারদের আলাদা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বার তা হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। সব ক্রিকেটারকে চারটি ভাগে ভাগ করা হবে। যেমন ভারতীয় ক্রিকেটে করা হয়। প্রথম ভাগে থাকবেন বাবর, মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন জনেই সব ধরনের ক্রিকেটে খেলেন। তাঁরা এ বারের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ১৩ লক্ষ ১২ হাজার টাকা পেতে পারেন।
দ্বিতীয় ভাগে থাকা ক্রিকেটারেরা পেতে পারেন প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। তৃতীয় ভাগে থাকা ক্রিকেটারেরা পেতে পারেন ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা এবং চতুর্থ ভাগে থাকা ক্রিকেটারেরা প্রতি মাসে পেতে পারেন ২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। ক্রিকেটারদের বার্ষিক আয় প্রায় চার গুণ বাড়তে চলেছে। যা ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন পাক ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা।
এমন একটা সময় ক্রিকেটারদের আয় বাড়তে চলছে, যখন পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে। পাক ক্রিকেটারদের আয় বেড়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে আইসিসি-র থেকে পাক বোর্ডেরও আয় বেড়ে যাওয়া। এই বছর আইসিসি-র থেকে প্রায় ২৮২ কোটি টাকা পেতে চলেছে পাকিস্তান। যা গত বারের দ্বিগুণ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব থেকে কম টাকা পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন বাবরেরা। সেই সঙ্গে আইপিএলেও খেলার অনুমতি নেই বাবরদের। অন্য দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার ক্ষেত্রে বোর্ডের নিয়ম বার বার বদলাতে থাকে। ফলে আর্থিক দিক থেকে ক্রিকেটারেরা বার বার অন্য দেশের ক্রিকেটারদের থেকে পিছিয়ে পড়েন। এমন অবস্থায় এই চুক্তি বাবরদের আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন বোর্ডের কর্তারা।