২০০২ সালের অ্যান্টিগুয়া টেস্টে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় কুম্বলে। —ফাইল চিত্র।
২০০২ সালে অ্যান্টিগুয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্টে মুখে ব্যান্ডেজ বেঁধে বল করেছিলেন অনিল কুম্বলে। তাঁর সাহস দেখে একই সঙ্গে বিস্মিত এবং মুগ্ধ হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। বিজয় হজারে ট্রফিতে সেই চোয়াল ভাঙা সাহসী কুম্বলেকে মনে করালেন এক ব্যাটার। তিনি দীনেশ কার্তিকের তামিলনাড়ুর ব্যাটার বাবা ইন্দ্রজিৎ। সেমিফাইনালে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ইন্দ্রজিৎ ব্যাট করলেন মুখে মোটা ব্যান্ডেজ বেঁধে।
বিজয় হজারে ট্রফির সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে হরিয়ানা ৭ উইকেটে ২৯৩ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারায় তামিলনাড়ু। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ইন্দ্রজিৎ। তাঁর ব্যাট করতে নামার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। কিন্তু তাঁর অবস্থা দেখে চমকে যান প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারেরাও। দেখা যায় ইন্দ্রজিতের মুখ জুড়ে পেট আটকানো। মুখ খোলারও সুযোগ নেই তাঁর। সেই অবস্থাতেই ৫টি চারের সাহায্যে ৭১ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন ইন্দ্রজিৎ। তামিলনাড়ুকে প্রতিযোগিতার ফাইনালে তুলতে না পারলেও তাঁর লড়াই প্রশংসিত হয়েছে ক্রিকেট মহলে। সতীর্থরা তো বটেই, ক্রিকেটপ্রেমীরা বা প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারেরাও তাঁর প্রশংসা করেছেন।
ফিল্ডিং করার সময় ইন্দ্রজিতের মুখে কোনও টেপ ছিল না। কোনও আঘাতও পাননি। তা হলে? দুই ইনিংসের মাঝে শৌচাগারে পড়ে গিয়েছিলেন ইন্দ্রজিৎ। তাতে তাঁর উপরের ঠোঁট মারাত্মক ভাবে জখম হয়। বিপুল রক্তপাত হয় তাঁর। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, গোটা মুখে টেপ লাগিয়ে দিতে হয় তাঁর। দলের প্রয়োজনে সেই অবস্থাতেই ব্যাট করতে নামেন ইন্দ্রজিত। ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমেও। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ ইন্দ্রজিৎকে তুলনা করেছেন কুম্বলের সঙ্গে।