(বাঁ দিকে) মিচেল স্টার্ক। যশস্বী জয়সওয়াল (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া লড়াই মানেই মাঠে এবং মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের বাগ্যুদ্ধ। গত টেস্টে যশস্বী জয়সওয়াল এবং মিচেল স্টার্কের লড়াই দেখা গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার পেসারকে মন্থর বলেছিলেন যশস্বী। তাঁর বলেই দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম বলে আউট হলেন ভারতীয় ওপেনার।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট। গোলাপি বলের টেস্টে শূন্য রানে ফিরতে হয় যশস্বীকে। স্টার্কের ১৪০.৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে আসা বল উইকেটের সামনে তাঁর পা খুঁজে নেয়। এলবিডব্লিউ হন যশস্বী। বলের সুইং বুঝতে পারেননি ভারতীয় ওপেনার। লেগ স্টাম্পে ছিল বলটি। সেখান থেকে বলটি বাইরে না গিয়ে সোজা উইকেটের দিকে ঢোকে। সেটাই বুঝতে পারেননি যশস্বী। ভেবেছিলেন বলটি বাইরে যাবে। লাইন ফস্কে এলবিডব্লিউ হন তিনি। মাথা নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। রিভিউও নেননি। অন্য দিকে, প্রথম বলে উইকেট পেয়ে উজ্জীবিত হন স্টার্ক।
গত টেস্টে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন যশস্বী। সেই সময় স্টার্ক বেশ কয়েক বার কড়া চোখে তাঁর দিকে তাকিয়েছিলেন, যা ভাল ভাবে নেননি যশস্বী। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসারকে বলেছিলেন, “খুব মন্থর বোলিং করছ আমাকে।” সেই সময় তাঁকে কোনও উত্তর দেননি স্টার্ক। ম্যাচের পর যদিও বাঁহাতি পেসার বলেছিলেন, “আমি শুনতেই পাইনি যশস্বী আমাকে মন্থর বলেছে। এখন আর আমি খুব বেশি স্লেজিং করি না। আগে করতাম। কিন্তু এখন আর করি না।” অ্যাডিলেডে যদিও প্রথম বলেই ১৪০.৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করে স্টার্ক বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ততটা ‘মন্থর’ নন। হয়তো প্রথম টেস্টে যশস্বীর কথা শুনেও জবাব দেননি স্টার্ক, ভেবেছিলেন মুখে নয়, বল হাতেই জবাব দেবেন।
শুক্রবার স্টার্ক গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম সেশনে তিনটি উইকেট নেন। যশস্বী ছাড়াও তিনি আউট করেন লোকেশ রাহুল এবং বিরাট কোহলিকে। প্রথম জন গালিতে ক্যাচ দেন, দ্বিতীয় জন ক্যাচ দেন দ্বিতীয় স্লিপে। মূলত স্টার্কের দাপটেই প্রথম সেশনে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত।