প্রথম টেস্টে সহজ জয় অস্ট্রেলিয়ার। ছবি: রয়টার্স
টেস্ট ম্যাচের মাঝেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে ছিটকে গেলেন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। তাতে অবশ্য ম্যাচের ফলে কোনও প্রভাব পড়ল না। আড়াই দিনের কম সময়েই প্রথম টেস্ট ১০ উইকেটে জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার মাত্র ২৫.২ ওভার খেলা হল। তাতেই ১২ উইকেট পড়ল।
গলে প্রথম টেস্টের শুরু থেকেই ব্যাক ফুটে ছিলেন দিমুথ করুণারত্নেরা। শেষ পর্যন্ত আর ফ্রন্ট ফুটে আসতে পারল না শ্রীলঙ্কা। স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি করে অস্ট্রেলিয়াকে আপ্যায়ন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই কৌশলই বুমেরাং হয়ে ফিরল লঙ্কা শিবিরে। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারই করুণারত্নেদের ১৮টি উইকেট তুলে নিলেন। নিজেদের তৈরি প্রশ্নপত্রের উত্তর দিতে না পেরে দু’ইনিংসেই ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটল শ্রীলঙ্কার।
প্রথম ইনিংসে আয়োজকরা তোলেন ২১২ রান। আর দ্বিতীয় ইনিংসে করুণারত্নেরা করেন মাত্র ১১৩ রান। যা এখনকার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিরিখেও বড় রান নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান এল করুণারত্নের ব্যাট থেকেই। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক করলেন ২৩। আয়োজকদের ছয় ব্যাটার দু’অঙ্কের রানও করতে পারলেন না। শ্রীলঙ্কা ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ১৪। যদিও তার থেকেও বেশি ১৬ রান যোগ হয়েছে অতিরিক্ত হিসাবে। প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন অবশ্য মাঠে নামতে পারলেন না ম্যাথুজ। ইংল্যান্ডের বেন ফোকসের পর শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোভিড আক্রান্ত হয়ে ছিটকে গেলেন। তাঁর পরিবর্তে দলে আসা ওশাদা ফার্নান্দো করলেন মাত্র ১২ রান।
প্রথম ইনিংসের মতোই দুরন্ত বল করলেন অজি স্পিনাররা। নাথান লায়ন ৩১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন। মিচেল সোয়েপসনের সংগ্রহ ৩৪ রানে ২ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার অবশ্য অনিয়মিত স্পিনার ট্রাভিস হেড। মাত্র ১০ রান দিয়ে শ্রীলঙ্কার চার জন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরালেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস ১১৩ রানে শেষ হওয়ার পর জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫ রান। মাত্র চার বলে ১০ রান করে দলকে ১০ উইকেটে জয় এনেদিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার আগে শুক্রবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩২১ রানে। দ্বিতীয় দিনের শেষে অপরাজিত থাকা অজি অধিনায়ক কামিন্স শেষ পর্যন্ত করলেন ২৬ রান। অন্য অপরাজিত ব্যাটার লায়ন অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। প্রথম ইনিংসের নিরিখে শ্রীলঙ্কার থেকে ১০৯ রানে এগিয়েছিল সফরকারীরা।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে দুরন্ত জয়ের সুবাদে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার দৌড়ে আরও এগিয়ে গেলেন কামিন্সরা।