ছবি: টুইটার।
অতিরিক্ত ক্রিকেট কি বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? না হলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত কেন নিয়ে ফেললেন ডেভিড ওয়ার্নার? অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটার সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে বেছে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ১২ পর্ব থেকে অস্ট্রেলিয়া বিদায় নেওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ভাবনা মাথায় এসেছে ওয়ার্নারের। এক অনুষ্ঠানে বাঁহাতি আগ্রাসী ওপেনার বলেছেন, ‘‘সম্ভবত টেস্ট ক্রিকেটকেই প্রথম বিদায় জানাব। আর এক বছর টেস্ট খেলব। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। আগামী বছর এক দিনের বিশ্বকাপ রয়েছে। এগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চাই।’’ এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৯৬টি টেস্ট খেলেছেন ওয়ার্নার। ৪৬.৫২ গড়ে করেছেন ৭৮১৭ রান। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ২৪টি শতরান এবং ৩৪টি অর্ধশতরান রয়েছে ওয়ার্নারের।
টেস্ট ক্রিকেট কি আর উপভোগ করছেন না? ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘সাদা বলের ক্রিকেটই আমার প্রিয়। দারুণ উপভোগ করি টেস্ট ক্রিকেট।’’ এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চেনা মেজাজে দেখা যায়নি ৩৬ বছরের ব্যাটারকে। তা হলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে কেন অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন না? ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও আমার ভাললাগে। আসলে ২০২৪ সালের বিশ্বকাপটা জিততে চাই। অনেকেই বলছেন, আমি বুড়ো হয়ে গিয়েছি। অনেকে বলছেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমার আর ভবিষ্যৎ নেই। নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে চাই। তাই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তরুণদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাই।’’
এ বার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডারকে নেতৃত্ব দেবেন ওয়ার্নার। দীর্ঘ দিন পর নিজের দেশে কোনও দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। উচ্ছ্বসিত ব্যাটার বলেছেন, ‘‘বিগ ব্যাশে খেলার সময় চার পাশে অনেক তরুণ থাকবে। যেমন জেসন সাঙ্ঘা এবং আরও অনেকে। ওরা যা শিখতে চাইবে, তাই শেখাব। অনেক দিন পর আবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। মনে হয় এটা ওদের জন্য একটা বড় সুযোগ।’’
আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এক দিনের বিশ্বকাপ হবে ভারতে। তার আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ় এবং অ্যাশেজ সিরিজ় রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম দুই সেরা দলের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে চান ওয়ার্নার। তাই নিজের টেস্টজীবনের জন্য আর ১২ মাস বরাদ্দ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটার। তার পর মন দেবেন শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে। ক্রিকেট থেকে পাকাপাকি ভাবে অবসর নেওয়ার আগে দেশকে দু’টি বিশ্বকাপ দিতে চান। তাই নিজের উপর থেকে টেস্ট ক্রিকেটের ভার নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।