ঠাসা সূচি নিয়ে বিরক্ত মইন। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েও রেগে লাল মইন আলি। কারণ এখনই দেশে ফেরা হচ্ছে না। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের।
বৃহস্পতিবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় শুরু হবে। তা নিয়েই ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের পর বিশ্রাম মাত্র তিন দিনের। দু’টি প্রতিযোগিতার মধ্যে সময়ের ব্যবধান এত কম হওয়ায় চটেছেন মইন। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার পর সে অর্থে বিশ্রামই পাবেন না তাঁরা। মইনের মতে, এমন ঠাসা সূচিতে ক্রিকেটারদের পক্ষে ১০০ শতাংশ দেওয়া সম্ভব নয়। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ জয়ের ১০ দিন পরেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে।
ক্ষুব্ধ মইন বলেছেন, ‘‘মাত্র তিন দিনের বিশ্রাম। তার পরেই এক দিনের ম্যাচ খেলতে নামতে হবে। এটা ভয়ঙ্কর! তবু ভাল দু’দিন পরেই মাঠে নামতে হচ্ছে না। বৃষ্টির জন্য রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল না হলে সোমবার খেলতে হত আমাদের। আমরা খেলোয়াড়রা এই ঠাসা সূচির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। তবে প্রতি দুই বা তিন দিন অন্তর খেলতে হলে সব সময় ১০০ শতাংশ দেওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়।’’
ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারের মতে, এই ধরনের সূচি ভাল ক্রিকেটের পথে অন্তরায়। ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, ‘‘এ রকম মাঝেমধ্যেই হয়। ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ জেতার দু’সপ্তাহ পরেই অ্যাশেজ সিরিজ় ছিল। মাত্র ১০ দিন পরেই আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট খেলতে হয়েছিল!’’ এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা লজ্জাজনক। একটা দল হিসাবে আমরা জয়টা (বিশ্বকাপ) উপভোগ করতে চাই। উদ্যাপন করতে চাই। কারণ এই প্রতিযোগিতায় আমরা নিজেদের নিংড়ে দিয়েছি। শুধু প্রতিযোগিতার সময় ধকল গিয়েছে তা নয়। বিশ্বকাপের আগের প্রস্তুতি বা প্রতিযোগিতাগুলোতেও নিজেদের সেরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’’
টানা ক্রিকেট নিয়ে বিরক্ত অনেক ক্রিকেটারই। তিন ধরনের ক্রিকেটার চাপ নিতে চাইছেন না অনেক ক্রিকেটারই। তাই ক্রিকেটাররা পছন্দমতো বেছে নিচ্ছেন। কেউ শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাইছেন। কেউ আবার বেছে নিচ্ছেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে। টেস্ট, এক দিনের ম্যাচ এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগগুলো। সারা বছরের ঠাসা এই সূচিই হয়ে উঠেছে ক্রিকেটারদের বড় সমস্যা।