Asian Games

এশিয়ান গেমসের দলে সুযোগ পাবেন ভাবেনইনি, বাংলার সেই তিতাসের দাপটেই ‌সোনা ভারতের

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। এশিয়ান গেমসের ফাইনালেও ভারতের জয়ের অন্যতম কারিগর চুঁচুড়ার তিতাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৭
Share:

তিতাস সাধু। ছবি: টুইটার।

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ক্রিকেটে সোনা জিতল ভারত। এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন বাংলার জোরে বোলার তিতাস সাধু। তৃতীয় ওভারে তাঁর হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। প্রথম বলেই শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিতাস। ম্যাচে নিলেন ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মেডেন পেয়েছেন একটি ওভার।

Advertisement

ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মাটিতে মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে নজর কেড়েছিলেন তিতাস। তখনই বোঝা গিয়েছিল আগামী দিনে মহিলাদের ক্রিকেটে বাংলার জোরে বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্য তিতাস। সেই ধারনা যে ভুল ছিল না, তা এশিয়ান গেমসের ফাইনালে আরও এক বার প্রমাণ করলেন তিনি। রবিবার সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল তিতাসের। আর সোমবারই তিনি ভারতের সোনা জয়ের অন্যতম কারিগর।

ভারতের সিনিয়র দলে এত তাড়াতাড়ি সুযোগ পাবেন, ভাবেননি তিতাস। এশিয়ান গেমসের দলে ডাক পেয়ে যে কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলেন, সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন। সুযোগ কাজে লাগাতে অবশ্য ভুল করলেন না তিনি। ভারতের সোনা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে হরমনপ্রীতদের সাজঘরে স্থায়ী জায়গা করে নেওয়া বার্তা দিয়ে রাখলেন।

Advertisement

প্রথম ওভারে দীপ্তি শর্মা ১২ রান দেওয়ায় তৃতীয় ওভারে তিতাসকে আক্রমণে আনেন হরমনপ্রীত। প্রথম বলেই তিতাস আউট করেন অনুষ্কা সঞ্জীবনীকে (১)। নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তিতাস সাজঘরে ফেরান তিন নম্বরে নামা ভিষ্মি গুণরত্নেকে (শূন্য)। বল করতে এসেই মেডেন-সহ ২ উইকেট নিয়ে ভারতকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দেন তিতাস। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের পঞ্চম ওভার এবং নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসে প্রতিপক্ষকে আবার ধাক্কা দেন তিতাস। এ বার তাঁর শিকার শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আটাপাট্টু (১২)। তিতাসের দাপটে ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। একাধিক ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া না হলে তিতাসের উইকেট সংখ্যা আরও বাড়ত।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা তিতাস ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন ১৩ বছর বয়স থেকে। নেট বোলার হিসেবে এসেছিলেন বাংলা দলের অনুশীলনে। তাঁকে দেখেই ঝুলন নির্বাচকদের বলেছিলেন, ‘‘মেয়েটির উপরে নজর রাখুন।’’ ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি। তিতাসের লক্ষ্য ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া। চুঁচুড়ার বাসিন্দা আত্মবিশ্বাসী। অ্যাথলেটিক্স দিয়ে শুরু। সুইমিং পুল ঘুরে ক্রিকেটের ২২ গজ দাপাচ্ছেন তিতাস। এ বছরই স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছেন হার্দিক পাণ্ড্যের ভক্ত।

তিতাস ২০২৫ সালের বিশ্বকাপ জিততে চান দেশের হয়ে। তার আগে এশিয়ান গেমসের সোনা জেতা হয়ে গেল বাংলার বোলারের। আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’ শিরোপা জেতা তিতাসের কীর্তিতে এশিয়ান গেমসের ক্রিকেট থেকে প্রথম সোনা জিতল ভারত।

গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement