পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান বিরাটের। ছবি: রয়টার্স
সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলীর অর্ধশতরান। হংকংয়ের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকলেও তা সে ভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি। বিরাট মানেই বড় ম্যাচে রান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেটাই করে দেখালেন তিনি। দুবাইয়ের মাঠে চলল বিরাট রাজার ব্যাট।
ম্যাচ শুরুর আগে রবি শাস্ত্রী বলছিলেন, বিরাটের বিশ্রাম নেওয়াটা কাজে দিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন কোচ ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, “বিরাট এখন অনেক শান্ত। ওর বিশ্রামটা প্রয়োজন ছিল। মানসিক ভাবে ক্লান্ত থাকলে নিজের বিরুদ্ধে লড়তে হয়। শরীর বলছে একটা জিনিস করতে, কিন্তু মন বলছে অন্য কিছু। বিশ্রাম নেওয়ায় ওর উপকার হয়েছে। মাঠে যত সময় কাটাবে, তত ছন্দ ফিরে পাবে বিরাট।”
সেটাই দেখা গেল এশিয়া কাপে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫ করে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু যে ভাবে লং অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছিলেন, তা মানতে পারেননি সমর্থকরা। রোহিত আউট হওয়ার পরে বিরাটের উপরেই ভরসা রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি পারেননি। এর পর হংকংয়ের বিরুদ্ধে করেন ৫৯ রান। হংকংয়ের বোলারদের বিরুদ্ধে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাটের পুল, কভার ড্রাইভ, মিড অফে খেলা শটগুলি বুঝিয়ে দিচ্ছিল রানে ফিরছেন তিনি। ইনিংস শেষ করলেন ৬০ রানে। এশিয়া কাপে তিন ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহ ১৫৪ রান। এই মুহূর্তে এ বারের এশিয়া কাপে সব থেকে বেশি রান তাঁরই।
ভারতের ইনিংস শেষে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
এশিয়া কাপে নামার আগে বিরাট জানিয়েছিলেন মাসখানেক ব্যাট ধরেননি তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ খেলার পর ৪২ দিন বাদে মাঠে নেমেছিলেন। দীর্ঘ দিনের বিশ্রামের পর তরতাজা বিরাটকে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “বিশ্রামের পর ফিরে এসেছে বিরাট। খুব তরতাজা রয়েছে। এখানে আশা করি সব ম্যাচই খেলতে পারবে। মাঠে সময় কাটাতে হবে। আশা করছি ও রানে ফিরবে এবং এই প্রতিযোগিতায় ভাল ছন্দে খেলবে।” খেললেনও।
ভারতের বাকি ব্যাটাররা যখন একের পর এক ফিরে যাচ্ছেন, বিরাট এক দিক ধরে রেখেছিলেন। ৪৪ বলে ৬০ রান করেন তিনি। ব্যাট করতে নেমেছিলেন ষষ্ঠ ওভারে। আউট হলেন ইনিংসের দু’বল বাকি থাকতে। ইনিংস সাজানো চারটি চার এবং একটি ছক্কা দিয়ে। দুই উইকেটের মাঝে সেই পরিচিত দৌড় দেখা গেল আবার।
২২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে বিরাটের ব্যাটে রান স্বস্তি দেবে রোহিত শর্মাকে। ‘বিরাটোচিত’ খেলা স্বস্তি দেবে সমর্থকদেরও।