ঋষভ পন্থ এবং দীনেশ কার্তিক। —ফাইল চিত্র
লড়াই ছিল ঋষভ পন্থ এবং দীনেশ কার্তিকের। ভারতের হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন উইকেটরক্ষক খেলবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। রোহিত শর্মা টসের সময় জানালেন, পন্থ নন, কার্তিক নামবেন ভারতের হয়ে। যে বিধ্বংসী ব্যাটারকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে মাতামাতি, সেই তরুণ মাঠের ধারে হলুদ রঙের বিপ পরে বসে রয়েছেন। আর এশিয়া কাপে উইকেটের পিছনে ৩৭ বছরের কার্তিক।
পন্থ কেন বাদ? প্রথমত দলে দু’জন উইকেটরক্ষক নিলে এক জন বোলার কম খেলাতে হবে ভারতকে। সেই কারণে পন্থ এবং কার্তিকের মধ্যে এক জনকে বেছে নিতেই হত। গত বছর মাইক হাতে ইংল্যান্ডে ধারাভাষ্য দিতে দেখা গিয়েছিল কার্তিককে। সেই সময় তিনি বলেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা তাঁর লক্ষ্য। অনেকে হেসেছিলেন তাঁর কথা শুনে। ভেবেছিলেন এটা সম্ভব! পন্থকে সরিয়ে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেবেন ‘বুড়ো’ কার্তিক। টেস্টে যখন ঋদ্ধিমান সাহাকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে আর দলে রাখা হবে না, তখন কার্তিক নেবেন পন্থের জায়গা?
আইপিএলে কার্তিক বোঝালেন তিনি শুধু বলার জন্য বলেননি ‘আমি বিশ্বকাপ খেলব।’ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৩০ রান করেন কার্তিক। স্ট্রাইক রেট ১৮৩.৩৩। ফিনিশার পেল ভারত। পেল পুরনো কার্তিককে, নতুন মোড়কে। ভারতীয় দলেও জায়গা করে নিতে শুরু করলেন তিনি। পন্থ যখন ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত, কার্তিক তখন নিজেকে প্রমাণ করছেন। প্রথমে আয়ারল্যান্ড, তার পর ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কার্তিক খেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। তিনিও যে ভারতীয় দলের জার্সিতে সুযোগ পেলে ম্যাচ জেতাতে পারেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
পন্থ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দলকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে যদিও তাঁর ব্যাট থেকে ৩৩ এবং ৪৪ রানের ইনিংস এসেছে। কিন্তু তিনি চার বা পাঁচ নম্বরে নেমে খেলতে যতটা স্বচ্ছন্দ, ছয় বা সাত নম্বরে নন। এশিয়া কাপে তাই ফিনিশার হিসাবে যখন এক জনকে বেছে নেওয়ার প্রয়োজন হল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তখন মাঠের বাইরে রইলেন পন্থ।