এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হেরে শুরু করেছিল পাকিস্তান। ফের রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন বাবর আজমরা। কিন্তু নেই পেসার শাহনেওয়াজ দাহানি। চোটের জন্য এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। দাহানির বদলে পাকিস্তান দলে কে? দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তানের প্রথম একাদশে কারা?
বাবর আজম: ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে রান পাননি। ভুবনেশ্বর কুমার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। হংকংয়ের বিরুদ্ধেও রান পাননি। ভারতের বিপক্ষে রানে ফিরতে চাইবেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
মহম্মদ রিজওয়ান: রানের মধ্যে রয়েছেন তিনি। বাবর রান না পেলেও রিজওয়ান দলকে টানছেন। ভারতের বিরুদ্ধেও রান পেতে চাইবেন তিনি।
ফখর জামান: ভারতের বিরুদ্ধে রান না পেলেও হংকংয়ের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেন। ভারতের বিরুদ্ধে রান করতে চাইবেন পাক ব্যাটার। তাঁকে বাদ দিয়ে বাবর যে নামতে চাইবে না তা বলাই যায়।
খুশদিল শাহ: হংকংয়ের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধেও এই বাঁহাতি ব্যাটারকে রেখেই দল গড়বে পাকিস্তান।
ইফতিখার আহমেদ: ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দেখা যেতেই পারে। ইতিমধ্যেই ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে। করে ফেলেছেন ২৯৯ রান। সুপার ফোরের ম্যাচে তাঁর উপরেই ভরসা রাখতে পারেন বাবররা।
শাদাব খান: তাঁর মতো অলরাউন্ডারকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ দেওয়া কঠিন। বাবর তা করবেন বলেও মনে করা হচ্ছে না। ব্যাটে, বলে তিনি পাকিস্তান দলের বড় ভরসা।
আসিফ আলি: ব্যাটিংয়ের সঙ্গে স্পিন বোলিংটাও পারেন আসিফ। ব্যাট হাতে ৪১টি টি-টোয়েন্টিতে ৪৪৪ রান করেছেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
মহম্মদ নওয়াজ: হংকংয়ের বিরুদ্ধে দু’ওভারে তিন উইকেট নেন তিনি। দিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ রান। ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ব্যাটিংও করতে পারেন। এমন ক্রিকেটারকে বাদ দিতে চাইবেন না বাবর।
হ্যারিস রউফ: পাকিস্তান দলের পেস আক্রমণের দায়িত্ব নিতে হবে রউফকে। ভারতের বিরুদ্ধে দাহানিকে হারিয়ে শক্তি হারানো পাক দলের ভরসা হতে পারেন রউফ।
নাসিম শাহ: গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন নাসিম। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও চার ওভার করেছিলেন। দু’টি উইকেটও নিয়েছিলেন।
হাসান আলি: শাহিন আফ্রিদি আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। দাহানি ছিটকে যাওয়ার পর পাকিস্তান দলে সুযোগ পেতে পারেন হাসান। তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে বড় ভূমিকা নিতে পারেন তিনি।