স্টুয়ার্ট ব্রড। —ফাইল চিত্র।
মার্নাস লাবুশেনের পর টড মার্ফি। অ্যাশেজ সিরিজ়ের শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটারকে আউট করতে অভিনব কৌশল নিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। উইকেটের দু’টি বেলের জায়গা অদলবদল করে তাঁদের মনঃসংযোগ নষ্ট করেছিলেন ব্রড। তবু সদ্য অবসর নেওয়া জোরে বোলারের আক্ষেপ রয়েছে।
অ্যাশেজ সিরিজ় খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ব্রড। নিজের ক্রিকেটজীবন নিয়ে তাঁর খুব বেশি আক্ষেপ নেই। সব মিলিয়ে তিনি খুশি। অবসরজীবনে পা দেওয়া ব্রডের বক্তব্য উইকেটের বেল পরিবর্তন করে ব্যাটারকে আউট করার কৌশল আগে শিখতে পারলে আরও লাভবান হতেন। ব্রড বলেছেন, ‘‘বছর দশেক আগে এই কৌশলটা শিখতে পারলে ভাল হত। ব্যাপারটা বেশ ভাল। লাবুশেন আউট হওয়ার পর হেসে ফেলেছিলাম। আসলে উইকেট নিতে না পেরে একটু হতাশ লাগছিল। তাই শেষ পর্যন্ত উইকেটের বেল পরিবর্তন করে দেখলাম। ব্যাপারটা কিন্তু কাজে এসেছে। শেষ ইনিংসে দুটো উইকেট পেয়েছি। তবে আর কখনও এমন করব না।’’
ব্রড বেল পরিবর্তন করতে গেলে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন লাবুশেন। পরের বলেই মনঃসংযোগ নষ্ট হয়ে আউট হওয়ার পর লাবুশেন মাঠে অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন। অস্ট্রেলীয় ব্যাটারের বিরক্তি দেখে মজা পেয়েছিলেন ব্রড। তিনি ঠিক এটাই করতে চেয়েছিলেন। ব্রড বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলীয়রা এ রকম করে। তাতে নাকি ভাগ্য বদলানো যায়। নাথান লায়নকে করতে দেখেছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ খেলা হয়ে যাওয়ার পরও আমরা উইকেট পাচ্ছিলাম না। দিনের প্রথম দু’ঘণ্টা প্রত্যাশিত সাফল্য পাইনি আমরা। তাই বেল পরিবর্তন করে দেখতে চেয়েছিলাম, যদি কিছু হয়। বেল পরিবর্তনটা কিন্তু জাদুর মতো কাজ করল। দু’ক্ষেত্রেই পরের বলেই উইকেট এল।’’
বেল পরিবর্তন করা নিয়ে ব্রডকে দ্বিতীয় ইনিংসে সাবধান করে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার উসমান খোয়াজা। কী বলেছিলেন খোয়াজা আপনাকে? ব্রড হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘খোয়াজা আমাকে বলল, ‘তুমি যদি উইকেটের বেলে হাত দাও, তা হলে আমি আবার আগের মতো করে দেব।’ খোয়াজা আমাকে প্রায় শুরুতেই সাবধান করে দিয়েছিল।’’
ওভাল টেস্টের শেষ দিন দর্শকদের অনেকে তাঁর মতো মাথায় সাদা ব্যান্ড পড়েছিলেন। এ নিয়ে ব্রড বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ দেখেছি অনেকেই আমার মতো হেডব্যান্ড পরে খেলা দেখতে এসেছিলেন। বাসে ওঠার আগে কয়েক জনের ব্যান্ডে সই করে দিয়েছি।’’
ব্রডের আক্ষেপ রয়েছে শেষ অ্যাশেজ সিরিজ় জিততে না পারার। তাঁর মতে, সিরিজ়ে একটি সিদ্ধান্ত তাঁদের ঠিক হয়নি। এজবাস্টন টেস্টে নতুন বল নেওয়ার সময় নির্বাচনে ভুল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ব্রড বলেছেন, ‘‘এজবাস্টনে ওই সময় নতুন বল না নিলে হয়তো অ্যাশেজ জিতে শেষ করতে পারতাম। নতুন বল বেশ সহজেই খেলেছিল প্যাট কামিন্স এবং নাথান লায়ন। আমরা ওদের আউট করার তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। আরও কয়েকটা ওভার আমাদের পুরনো বল ব্যবহার করা উচিত ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের কাছে হারলেও মাথা উঁচু রাখা যায়।’’