রিয়ান পরাগ। —ফাইল চিত্র।
দেওধর ট্রফির ফাইনালে পূর্বাঞ্চল। মঙ্গলবার পশ্চিমাঞ্চলকে ১৫৭ রানে হারিয়ে দিল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ৩১৯ রান তোলে পূর্বাঞ্চল। ৬৮ বলে ১০২ রান করেন রিয়ান পরাগ। জবাবে পশ্চিমাঞ্চল শেষ হয়ে যায় ১৬২ রানে। পাঁচ উইকেট নেন মণিশঙ্কর মুরাসিংহ।
দেওধরের গ্রুপ পর্বে পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিই জিতে নেয় পূর্বাঞ্চল। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে উঠল তারা। দক্ষিণাঞ্চল শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চল বনাম পশ্চিমাঞ্চল ম্যাচটি মরণবাঁচন ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুই দলের জন্য। এই ম্যাচে যে দল জিতত, তারাই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করত। সেই কাজটাই করল পূর্বাঞ্চল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চলের দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং উৎকর্ষ সিংহ জুটিতে ৫৯ রান তোলেন। বাংলার ওপেনার অভিমন্যু ৩৮ রান করে আউট হয়ে যান। অন্য ওপেনার উৎকর্ষ ৫০ রান করেন। তিন নম্বরে নেমে বিরাট সিংহ ৪২ রান করেন। ঋষভ দাশ এবং সৌরভ তিওয়ারি খুব বেশি রান করতে পারেননি। ১৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় পূর্বাঞ্চল। সেখান থেকে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন পরাগ। আসামের এই ক্রিকেটার আগের ম্যাচের শতরান করেছিলেন। এই ম্যাচেও তাঁর ৬৮ বলে ১০২ রানের ইনিংস দলকে বড় রান তুলতে সাহায্য করে। তাঁকে সঙ্গ দেন কুমার কুশাগ্র (৫৩)। তাঁরা দু’জনে ১৫০ রানের জুটি গড়েন। তাঁদের দাপটে ৩১৯ রান তোলে পূর্বাঞ্চল।
সেই রান তাড়া করতে নেমে রাহুল ত্রিপাঠি, সরফরাজ খান, শিবম দুবেদের পশ্চিমাঞ্চল মুখ থুবড়ে পড়ে। ওপেনার হার্ভিক দেসাই ৯২ রান করলেও বাকি কোনও ব্যাটার রান পাননি। পূর্বাঞ্চলের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন ত্রিপুরার মণিশঙ্কর। তিনটি উইকেট নেন উৎকর্ষ। বাংলার আকাশ দীপ এবং শাহবাজ় আহমেদ একটি করে উইকেট নেন। ১৬২ রানে শেষ হয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চল।