বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র
ইংল্যান্ডের বাজ়বল (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ডাকনাম বাজ়। তাঁর সময়ে ইংল্যান্ড আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছে। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে বাজ়বল।) ক্রিকেট এখন গোটা বিশ্বে চর্চার বিষয়। অ্যাশেজেও বাজ়বল খেলেই সফল হয়েছে বেন স্টোকসের দল। ০-২ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে সিরিজ় ২-২ করেছেন বেন স্টোকসেরা। ইংল্যান্ডের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ় ভারতে। এ দেশে এসেও কি বাজ়বল খেলতে পারবেন তাঁরা! আর খেললেও কি সাফল্য পাবেন? সেই প্রশ্ন উঠছে। অ্যাশেজ শেষে তারই জবাব দিলেন স্টোকস। বুঝিয়ে দিলেন ভারতে বাজ়বলের সাফল্য নিয়ে তিনি যথেষ্ট সন্দিহান।
ওভাল টেস্টের পরে সাংবাদিক বৈঠকে স্টোকস বলেন, ‘‘আমরা নিউ জ়িল্যান্ডকে বাজ়বল খেলে ৩-০ হারিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাজ়বল খেলে সাফল্য পাইনি। তাই ভারতের বিরুদ্ধে সাফল্য পাব কি না জানি না। সময়ই এর উত্তর দেবে।’’
অ্যাশেজের পরে এখন ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপ। তারই প্রস্তুতি শুরু করবে তারা। আগামী বছরের শুরুতে ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবে ইংল্যান্ড।
অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পরে বাজ়বল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল। ইংল্যান্ডের অতি আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সমালোচনা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু নিজেদের খেলার ধরন থেকে সরে আসেনি ইংল্যান্ড। তৃতীয় ও পঞ্চম টেস্ট জিতেছে তারা। চতুর্থ টেস্টে বৃষ্টির কারণে খেলা ভেস্তে না গেলে সেই টেস্টেও ইংল্যান্ডের জেতার সম্ভাবনা ছিল বেশি। তাই ইংল্যান্ড যে নিজেদের খেলার ধরন থেকে সরবে না তা পরিষ্কার। কিন্তু ভারতে বাজ়বল খেলায় কিছু সমস্যা রয়েছে।
বাজ়বল খেলার জন্য এমন পিচ দরকার যেখানে দ্রুত রান করা যায়। কিন্তু ভারতে গত কয়েক বছরে টেস্টে ঘূর্ণি উইকেট দেখা গিয়েছে। অনেক টেস্ট আড়াই-তিন দিনে শেষ হয়ে গিয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর পটেল, কুলদীপ যাদবদের স্পিন আক্রমণের সামনে বাজ়বল খেলা কতটা সহজ হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। জানেন না স্টোকস নিজেও। সেই কথাই জানিয়েছেন তিনি।