অ্যালেক্স ক্যারে। ছবি: রয়টার্স
অ্যাশেজের তিনটি টেস্টেই উত্তপ্ত হয়েছে পরিবেশ। সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মাঠের বাইরে। সম্প্রতি একটি ঘটনায় তা প্রকাশ্যে এসেছে। তৃতীয় টেস্ট যেখানে হচ্ছে, সেই লিডসে একটি দোকানে চুল কাটার পর টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারের বিরুদ্ধে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগের দিন লিডসের ডক বার্নেটস বার্বার শপে চুল কাটতে গিয়েছিলেন ক্যারে। সঙ্গে ছিলেন সতীর্থ মার্নাস লাবুশেন, ডেভিড ওয়ার্নার এবং উসমান খোয়াজা। অ্যাডাম মাহমুদ নামে এক নাপিত তিন জনেরই চুল কাটেন। লাবুশেন এবং ওয়ার্নার সেই নাপিতের সঙ্গে ছবি তুললেও ক্যারে ছবি তুলতে চাননি। বাকিরা টাকা দিলেও তিনি টাকাও দেননি বলে অভিযোগ। চুল কাটাতে ৩০ পাউন্ড খরচ হয়েছিল ক্যারের।
এক সংবাদপত্রে অ্যাডাম বলেছেন, “দোকান বন্ধ করার ঠিক আগে ওরা চার জন আসে। আমরা চুল কেটে দিই। তারপর অনেক মজা করি। কিন্তু বিল মেটানোর সময় ক্যারে জানায় ওর কাছে নগদ টাকা নেই। এ দিকে আমরা ক্রেডিট কার্ড নিই না। যদিও আমাদের দোকানের সামনেই টাকা তোলার যন্ত্র ছিল। তাছাড়া পাঁচ মিনিট দূরেই ওর হোটেল। সেখান থেকেও টাকা নিয়ে আসতে পারত। কিন্তু ও জানায়, পরে টাকা ট্রান্সফার করে দেবে। হয়তো ভুলে গিয়েছে। কিন্তু সোমবারের মধ্যে ও যদি টাকা না দেয় তা হলে আমি দুঃখ পাব।”
যদিও এই ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাদের দাবি, বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল খেলার পর থেকে চুলই কাটেননি ক্যারে। তিন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে যিনি চুল কাটতে গিয়েছিলেন, তিনি দলের অন্য একজন সদস্য। চুল কাটার পরেই আন্তর্জাতিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা দিয়ে দেন। সেই প্রমাণও তাঁদের কাছে রয়েছে। স্টিভ স্মিথও ‘থ্রেডস’ অ্যাপে পোস্ট করে ঘটনার কথা অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, লর্ডস টেস্টের পর থেকেই ইংরেজ সমর্থকদের কাছে খলনায়ক হয়ে গিয়েছেন ক্যারে। কারণ, তিনিই জনি বেয়ারস্টোর অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে রান আউট করেছিলেন। তাঁকে ‘প্রতারক’ তকমাও দিয়েছে ইংরেজ সংবাদমাধ্যম।