টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ফেভারিট হিসেবে কাউকে বাছা খুব কঠিন। ফর্ম্যাট যত সংক্ষিপ্ত হয়, তত অঘটন ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। একটা দল হয়তো দারুণ ব্যাট করছে, কিন্তু ফিল্ডিং দলের একটা ভাল ওভার ছবিটা বদলে দিতে পারে। আবার উল্টোটাও ঘটে। ভাল বোলিং করা দল একটা খারাপ ওভার করার জন্য হেরে গেল।
আফগানিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটার বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে। যার ফলে ওদের অভিজ্ঞতা আর আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। যে কোনও দিন অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে ওরা। ওদের হাতে বেশ কয়েক জন ভাল বোলারও আছে। এই রকম কম ওভারের খেলায় যারা গোটা দুয়েক ওভার ভাল করে দিতে পারলে ম্যাচের রংটাই বদলে যায়। ২০ ওভারের খেলায় বল কোন দিকে ঘুরবে বুঝতে না বুঝতেই অনেকটা সময় চলে যায়। কয়েকটা বলে রান না হলেই ম্যাচ ঘুরে যায়।
ক্রিকেটকে আফগানিস্তানের সেরা উপহার হল রশিদ খান। কী অসাধারণ ক্রিকেটার। যে দলের হয়ে খেলে, নিজের একশো শতাংশ দেয়। ওর মতো ক্রিকেটারই খেলাটকে আরও উজ্জ্বল করে তুলছে। জোরের উপরে করা লেগস্পিন রশিদের প্রধান অস্ত্র। কিন্তু পরের দিকে নেমে ওর ব্যাটিং বা ফিল্ডিংয়ের সময় মরিয়া মনোভাবটাও ওকে ক্রিকেটার হিসেবে মূল্যবান করে তুলেছে। আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি অনেকটা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো। কঠিন পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রাখে। ব্যাটে বা বলে ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। আফগানিস্তান যথেষ্ট বিপজ্জনক দল। ওদের যারাই হাল্কা ভাবে নেবে, ভুগবে।
স্কটল্যান্ডও গ্রুপ পর্বে খুব ভাল খেলে সুপার ১২-এ এসেছে। ওরা এক-আধটা ম্যাচে চমক দিতে পারে।
(টিসিএম)