অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।
রবিবারই বিশ্বকাপ দেখেছে অঘটন। আফগানিস্তানের কাছে হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড। সোমবার পাঁচ বারের বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া হারের হ্যাটট্রিক করতে পারত। হল না তাদের প্রতিপক্ষ দল শ্রীলঙ্কার ব্যর্থতাতেই। শুরুটা ভাল করেও যে ভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল কুশল মেন্ডিসদের ইনিংস, তাতে হারের পিছনে নিজেদের দায়ী করা ছাড়া উপায় নেই শ্রীলঙ্কার। আগে ব্যাট করে ২০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এ বারের বিশ্বকাপে এটাই তাদের প্রথম জয়।
রবিবার আফগানিস্তান ম্যাচেও দুই ওপেনার দারুণ শুরু করেছিলেন। মাঝের দিকের ব্যাটারেরা ব্যর্থ হলেও শেষের দিকে চালিয়ে খেলে স্কোরবোর্ডে ভাল রান তোলে আফগানরা। একই চিত্রনাট্য দেখা যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসেও। দুই ওপেনার পথুম নিসঙ্ক এবং কুশল পেরেরা দারুণ শুরু করলেন। মিচেল স্টার্ক, জশ হেজলউড এবং প্যাট কামিন্সকে দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না তাঁরা পাঁচ বারের বিশ্বজয়ী দলের হয়ে খেলতে নেমেছেন। তাঁদের এতটাই সাধারণের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিল শ্রীলঙ্কা।
স্টার্কে দু’বার ‘মানকাডিং’-এর প্রচেষ্টা শ্রীলঙ্কার ওপেনারদের আরও তাতিয়ে দেয়। মনে হচ্ছিল লখনউয়ে আবার হারতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তা অবশ্য হয়নি। দুই ওপেনার ফেরার পরেই শ্রীলঙ্কা ধসে যায়। প্রথমে নিসঙ্ক ফেরেন। কয়েক ওভার গড়াতে না গড়াতেই পেরেরাকেও ফিরতে হয়। শ্রীলঙ্কার হাতে ভাল ব্যাটার ছিল। কেউ টিকতে পারলেন না। দুই ওপেনারের পর চরিত আসালঙ্ক বাদে কেউ দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জ়াম্পা ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন।
বল হাতে শুরুটা খারাপ করেনি শ্রীলঙ্কা। দিলশন মদুশঙ্কের একটি ওভার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ শ্রীলঙ্কার দিকে এনে দিয়েছিল। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ষষ্ঠ বলে স্টিভ স্মিথকে আউট করেন মদুশঙ্ক। মাঝের চারটি বলে কোনও রান দেননি। ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন শ্রীলঙ্কা চাপে। কিন্তু ওই একটি স্পেনের পরেই শ্রীলঙ্কা কোথায় হারিয়ে গেল।
তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধলেন মিচেল মার্শ এবং মার্নাস লাবুশেন। দু’জনে মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়লেন। মার্শ ৫২ করে ফেরার পর জশ ইংলিস ক্রিজে এলেন। তাঁকেও টলাতে পারেননি শ্রীলঙ্কার বোলাররা। লাবুশেন ৪০ রানে ফেরেন। ম্যাচের শেষ দিকে মারতে গিয়ে ফিরে যান ইংলিস (৫৮)। মার্কাস স্টোইনিসকে নিয়ে ম্যাচ বার করে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অপরাজিত ৩১)।