দুরন্ত: ঈশ্বরনের ব্যাটিংয়ে শুরুতে চাপে পড়ে যায় বিপক্ষ। —ফাইল চিত্র।
বিজয় হজারে ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচেও ছুটছে বাংলার জয়রথ। শক্তিশালী বরোদাকে ৯৫ রানে হারিয়ে প্রতিযোগিতা জমিয়ে দিলেন সুদীপ কুমার ঘরামিরা। নেপথ্যে অভিমন্যু ঈশ্বরনের ১৪১ রানের ইনিংস। অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১১৮ রান যোগ করেন তিনি। সেখানেই ভেঙে যায় বিপক্ষের মেরুদণ্ড।
শনিবার মুম্বইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠান বরোদার অধিনায়ক বিষ্ণু সোলাঙ্কি। খেলেননি ক্রুণাল পাণ্ড্য। ব্রেবোর্নের স্যাঁতসেঁতে পিচে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৪২ রান তুলেছিলেন বাংলার ওপেনারেরা। সাত ওভারে দলের রান ছিল ১৫। ক্রিজ়ে কামড়ে পড়ে থেকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে বার করে নিয়ে আসেন ঈশ্বরন। ৬৫ বলে ৫৯ রান করে অভিষেক ফিরে যাওয়ার পরে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এসে পড়ে অভিমন্যু কাঁধে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঈশ্বরনকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। ৪৭ বলে ৪১ রান করে যান তিনি। শেষের দিকে ১৪ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে বাংলাকে ৩১৪-৮ স্কোরে পৌঁছে দেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক।
ঈশ্বরন তাঁর ইনিংসে একটিও ছয় মারেননি। মোট ১৭টি চার আসে তাঁর ব্যাট থেকে। অন্য দিকে প্রদীপ্ত মারেন চারটি চার ও দু’টি ছয়। জবাবে ২১৯ রানে শেষ হয়ে যায় বরোদার ইনিংস। তিনটি করে উইকেট নেন কর্ণ লাল ও প্রদীপ্ত। দুই উইকেট মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কাইফের। এক উইকেট আকাশ দীপ ও শাহবাজ় আহমেদের।
সোমবার বাংলার প্রতিপক্ষ তামিলনাড়ু। প্রতিযোগিতার সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তারা। সেই ম্যাচের আগে বরোদাকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী বঙ্গ শিবির। সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলছিলেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় ভাল জায়গায় থাকতে গেলে এ ধরনের বড় দলকে হারাতেই হবে। আমরা শুরু থেকেই আজ জেতার জন্য মরিয়া ছিলাম। টস হারার পরে কঠিন পরিবেশে ব্যাট করতে হয়েছে আমাদের। শুরুর দিকে বল প্রচণ্ড নড়াচড়া করছিল। প্রথম সাত ওভারে ১৬-১৭ রান হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে অভিমন্যু ও অভিষেক অসাধারণ ব্যাট করল।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘অনুষ্টুপ তিন নম্বরে নেমেও অসাধারণ খেলেছে। চমক দিয়েছে প্রদীপ্ত। এ ভাবেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে যেতে হবে ছেলেদের।’’