নবীন উল হক। —ফাইল চিত্র।
২০১৯ সালের পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে হারাতে পারেনি জ়িম্বাবোয়ে। সেই নজির ভাঙল। বুধবার হারারেতে জ়িম্বাবোয়ের কাছে হারল আফগানিস্তান। টান টান এই ম্যাচে খলনায়ক নবীন উল হক। একটি ওভারে ১৩টি বল করেন তিনি। দেন ১৯ রান। সেখানেই খেলা ঘুরে যায়। গত বছর আইপিএলে বিরাট কোহলির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন নবীন। আরও এক বার শিরোনামে তিনি।
শেষ ছ’ওভারে জ়িম্বাবোয়ের জিততে দরকার ছিল ৫৭ রান। রানের গতি খুব বেশি ছিল না। কিন্তু এক ওভারেই ছবিটা বদলে যায়। প্রথম বলই ওয়াইড করেন নবীন। পরের বলে একটি সিঙ্গল হয়। তৃতীয় বলটি নো-বল করেন আফগান পেসার। সেই বলে চার মারেন সিকন্দর রাজা। ফ্রি-হিটের বলটি ওয়াইড ইয়র্কার করার চেষ্টা করছিলেন নবীন। সেটা করতে গিয়ে পর পর চারটি ওয়াইড করেন তিনি।
বাধ্য হয়ে রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করেন নবীন। সেই বলটিতেও চার মারেন সিকন্দর। ওভারের তৃতীয় বৈধ বলে অবশ্য সিকন্দরের উইকেট তুলে নেন নবীন। তার পর আরও তিনটি বল বাকি ছিল আফগান পেসারের। তার মধ্যেও একটি ওয়াইড করেন তিনি। ওভারে ১৯ রান দেন নবীন। তাঁর ওভারের পর জ়িম্বাবোয়ের লক্ষ্য ৩০ বলে ৩৮ রান হয়ে যায়। নবীনের ভুলেই হারতে হয় আফগানিস্তানকে।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে আফগানিস্তান। করিম জনত ৫৪ ও মহম্মদ নবি ৪৪ রান করেন। জবাবে ব্রায়ান বেনেটের ৪৯ ও ডিয়ন মেয়ার্সের ৩২ রান জ়িম্বাবোয়েকে জেতায়। শেষ বলে দরকার ছিল ১ রান। অনেক চেষ্টা করেও খেলা টাই করতে পারেনি আফগানিস্তান।
গত বছর আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে খেলা চলাকালীন কোহলির সঙ্গে বিবাদ হয় এই নবীনের। পরে সেই বিবাদে ঢুকে পড়েন গৌতম গম্ভীর। বেশ কয়েক দিন বিবাদের রেশ ছিল। যদিও পরে কোহলি ও নবীন দু’জনেই জানান, তাঁদের মধ্যে সমস্যা মিটে গিয়েছে।