আতঙ্কিত: সংক্রমণ এড়াতে দেশে ফিরলেন নেমার। ফাইল চিত্র
করোনা বিধ্বস্ত ফ্রান্স ছেড়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন ব্রাজিলীয় তারকা নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র। ফিরে গিয়েছেন প্যারিস সাঁ জাঁরমা ক্লাব এবং ব্রাজিল দলে নেমারের সতীর্থ থিয়াগো সিলভাও।
ফ্রান্সে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আড়াই হাজারের উপরের মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। কিছু কিছু জায়গায় সাময়িক ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। রাস্তায় মানুষের চলাফেরার উপরেও নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছে। ফুটবলও স্তব্ধ হয়ে আছে ফ্রান্সে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভয়ঙ্কর করোনা অতিমারির গ্রাসে যখন ইউরোপ, তখন ব্রাজিলে ফিরে গিয়ে নিজেকে বাকি দুনিয়ার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেমার। ইউরোপে এখন প্রায় সব দেশেই ফুটবল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফ্রান্সের ‘লিগ ওয়ান’ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ‘লকডাউন’ শুরু হওয়ার আগেই গত সপ্তাহে প্যারিস ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন নেমার। পিএসজির অধিনায়ক সিলভাও ব্রাজিল ফিরে গিয়েছেন গত মঙ্গলবার। এও জানা গিয়েছে, পিএসজি কর্তৃপক্ষ আগেই তাদের ফুটবলারদের অনুমতি দিয়েছিল, নিজেদের পছন্দমতো জায়গায় যাওয়ার। যেখানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে পারবেন তাঁরা।
থিয়াগোকে ইতিমধ্যে ব্রাজিলে দেখাও গিয়েছে। ব্রাজিলীয় ফুটবলারের স্ত্রী, ইসাবেলা দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘‘ভাইরাস সব জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। আমার স্বামী কাজ শুরু করার অপেক্ষায় আছে। কোনও নোটিস এলেই ও কাজ শুরু করবে। বিশ্ব জুড়ে যা চলছে, তার জন্য আমরা সবাই শোকাহত। তবে আশা করছি, এই দুঃসময় কেটে যাবে।’’
নেমারও দিন তিনেক আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছিলেন, সরকারি নির্দেশ মেনে চলার। পাশাপাশি একটি পোস্টারের ছবি দিয়েছিলেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘‘ভাইরাস কিন্তু ঘুরে বেড়ায় না। মানুষ ঘুরে বেড়ায়।’’
ফিরলেন ইগুয়াইন: করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব তাঁর শরীরে মেলেনি। জুভেন্টাসের আর্জেন্টিনীয় স্ট্রাইকার দলের সঙ্গেই ছিলেন কোয়রান্টিনে। কিন্তু এরই মধ্যে খবর এসে পৌঁছায় যে ইগুয়াইনের মা গুরুতর অসুস্থ। তাই ক্লাবের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ইটালি ছেড়েছেন তিনি। তবে এক্ষেত্রেও ঝক্কি সামলাতে হয়েছে তাঁকে। ব্যক্তিগত বিমানে প্রথমে তুরিন থেকে ফ্রান্সে যান তিনি। সেখান থেকে স্পেন হয়ে উড়ে যান আর্জেন্টিনায়।