Coronavirus

বন্ধ দুই প্রধানের অনুশীলন, ডার্বি হয়তো ৫ এপ্রিল

শনিবার সকালেই ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনাভাইরাসের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব খেলা বন্ধ থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ০৫:০২
Share:

মহড়া: প্র্যাক্টিস শেষে ছুটি ঘোষণা কিবুর (ডান দিকে)। ছবি : সুদীপ্ত ভৌমিক

যুবভারতী পাওয়া গেলে ৪ অথবা ৫ এপ্রিল আই লিগের কলকাতা ডার্বি করতে চায় ফেডারেশন। নতুন যে সূচি তৈরি হচ্ছে তাতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ দিয়েই কলকাতার দুটি দলের খেলা রাখা হচ্ছে। লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে যে দলের সঙ্গে যে দলের খেলা ছিল সেটাই রাখা হচ্ছে।

Advertisement

শনিবার সকালেই ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনাভাইরাসের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব খেলা বন্ধ থাকবে। ফলে শুধু সিনিয়র আই লিগ নয়, আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন এমনকি বেবি লিগও বন্ধ রাখা হচ্ছে। দিল্লির ফুটবল হাউসের কর্তারা ঠিক করেছেন, সব লিগেরই পরিবর্তিত সূচি তৈরি করে রাখা হবে। সরকার অনুমতি দিলেই সেই মতো খেলা চালু করে দেওয়া হবে। ফেডারেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবভারতী কবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে তারা সংশয়ে রয়েছেন। কারণ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ক্লাবগুলির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত খেলা বন্ধ থাকবে। পর্যালোচনা বৈঠক হবে ৩০ মার্চ। সেখানে যদি ফের খেলাধুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় তা হলে লিগ নিয়ে তৈরি হবে তীব্র অনিশ্চয়তা। ফেডারেশনের নির্দেশে বারাসত স্টেডিয়ামে মহমেডান বনাম ভবানীপুরের আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলাও বাতিল হয়ে গিয়েছে। ১৭ মার্চ দীপেন্দু বিশ্বাসের দলের সঙ্গে খেলা ছিল হায়দরাবাদ এফ সি-র। সেটাও বাতিল করা হয়েছে।

প্রায় কুড়ি দিন কোনও খেলা নেই। তার উপর করোনাভাইরাসের আতঙ্ক! এই অবস্থায় দুই প্রধানের কোচই দলের অনুশীলন স্থগিত করে দিলেন। লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা আপাতত ন’দিন অর্থাৎ ২৩ মার্চ পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দিয়েছেন জোসেবা বেইতিয়াদের। আর ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিয়ো রিভেরা আপাতত তিন দিন ছুটি দিয়েছেন কাশিম আইদারা, লালরিন্দিকা রালতেদের। শনিবার অনুশীলনের পরে তিন দিন ছুটি দিয়ে স্পেনীয় কোচ জানিয়েছেন, পরে পর্যালোচনা এবং পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর কিবু বলে দিয়েছেন, ‘‘আমার মা এবং পরিবারের বেশ কয়েক জনের আশির কোঠায় বয়স। ওদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় আছি।’’ লম্বা ছুটি পেয়ে গেলেও পাপা বাবাকর দিয়োহারাদের দেশে যাওয়া হচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রকের নিয়মে পড়ে সমস্যায় পড়তে চান না কেউ-ই। যা নিয়ম হয়েছে তাতে স্পেনে গেলে যদি ফেরার সময় সমস্যা হয় তাই কেউ ঝুঁকি নিতে নারাজ। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের অনেক ফুটবলারই এসেছিলেন মুখাবরণ পড়ে। ফিরেও যান সেই ভাবেই।

Advertisement

এ দিকে ফেডারেশন ঠিক করেছে, মোহনবাগানের যে দিন হোম ম্যাচ হবে সে দিনই যুবভারতী (দর্শকশূন্য না হলে) বা মোহনবাগান মাঠে গিয়ে ট্রফি দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement