প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জয় লিয়োনেল মেসির। ছবি: রয়টার্স
প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচে বার বার দেখা গিয়েছে দি মারিয়াকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দিয়েছিলেন লিয়োনেল স্কালোনি। তবে দি মারিয়া নামতেই আর্জেন্টিনার খেলায় ছন্দ দেখা যেত। ফাইনালে তাই কোনও রকম দেরি করেননি আর্জেন্টিনার প্রশিক্ষক। জানতেন শুরুতেই গোল করতে পারলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবে দল। প্রথম একাদশেই রেখেছিলেন দি মারিয়াকে। সুফলও পেলেন।
দুই দলই একে অপরের অর্ধে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। ৩৪ মিনিটের মাথায় বক্সের সামনে ফ্রি কিক পেয়েছিল ব্রাজিল। তবে আর্জেন্টিনার মানব প্রাচীরে ধাক্কা খেয়ে ফেরে নেমারের শট। প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। গোলে দুটো শটও নিয়েছিল তারা। কিন্তু গোল করতে পারেনি।
গোলের পর মেসি এবং দি মারিয়া। ছবি: রয়টার্স
ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের ফ্রেড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাঁকে তুলে নেন তিতে। ফ্রেডের বদলে মাঠে নামেন রবের্তো ফিরমিনো। একে অপরের জামা ধরা, চোরাগোপ্তা পা চালানো, ইচ্ছাকৃত ভাবে আটকে রাখা চলতেই থাকে দুই দলের মধ্যে। হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনার লিয়েন্ড্রো প্যারাদেসও।
৫২ মিনিটের মাথায় গোল পেয়েই গিয়েছিল ব্রাজিল। রিচার্লিসনের শট জালে জড়িয়ে যায়। তবে অফ সাইড ছিলেন তিনি। বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। ২ মিনিটের মধ্যে ফের আক্রমণে উঠে আসে ব্রাজিল। ফের সুযোগ পান রিচার্লিসন। তাঁর জোরালো শট আটকে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বার বার আক্রমণে উঠতে থাকে ব্রাজিল। চাপ বাড়তে থাকে আর্জেন্টিনার রক্ষণে। বক্সের মধ্যে এক বার পড়ে যান নেমার। তবে পেনাল্টি দেননি রেফারি।
আটকে গেলেন নেমার, জয় মেসির। ছবি: টুইটার থেকে
সময় যত এগিয়েছে ব্রাজিল মরিয়া হয়ে উঠেছে। ফ্রি কিক পেয়েছে, কর্নার পেয়েছে, মাঠে আসা কিছু দর্শকের উৎসাহ পেয়েছে কিন্তু গোল করতে পারেননি নেমাররা। গোল না খাওয়ার পণ করে নেমেছিলেন ওটামেন্ডিরা।