ফাইল চিত্র।
সেই ১৯৬৬ সালে দেশের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের পরে গত ৫৫ বছরে ইংল্যান্ডের সিনিয়র ফুটবল দল কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জেতেনি। আবার ১৯৬৮ সালে ইউরোপ সেরা হওয়ার পরে ইটালিও ইউরো জেতেনি।
এ রকম অবস্থায় আজ, রবিবার রাতে ওয়েম্বলির মাঠে ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম ইটালির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। এখন প্রশ্ন উঠছে, এ বার ইউরো জিতবে কে?
অনেকেই ইটালিকে সম্ভাব্য বিজয়ী ধরছেন। কিন্তু আমি তাঁদের দলে পড়ছি না। হ্যারি কেনের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডকে কিছুটা হলেও ফাইনালে এগিয়ে রাখছি আমি।
দু’দলই দারুণ ফুটবল খেলে ফাইনালে উঠেছে। গ্রুপে স্কটল্যান্ড ম্যাচে গ্যারেথ সাউথগেটের দলকে একটু রক্ষণাত্মক দেখালেও, তার পরে বাকি প্রতিযোগিতায় ওরা এগিয়েছে আগ্রাসী মেজাজেই। তেমনই ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকা ইটালিও দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলে প্রমাণ করেছে ওদের দলের গভীরতা।
ইংল্যান্ডের রাহিম স্টার্লিং, কেনরা নিজেদের রক্ষণ থেকে দ্রুত গতিতে তিন-চার পাসে বিপক্ষ রক্ষণে পৌঁছে যাচ্ছে, সেটা কিন্তু ইটালি পারছে না। চিরো ইমমোবিলেরা বিপক্ষ রক্ষণে হানা দিতে একটু বেশিই পাস খেলছে। এতে বিপক্ষ সতর্ক হয়ে যাচ্ছে। আর এই জায়গাতেই এগিয়ে থাকছে ইংল্যান্ড। কারণ, গতির সঙ্গে পাস খেলে কোনও দল বিপক্ষ রক্ষণে বার বার আঘাত করলে একটা সময় সেই রক্ষণ ভুল করবেই। তাই ইংল্যান্ডের এই তারুণ্যে ভরা গতিময় আক্রমণকে কতক্ষণ জর্জে কিয়েল্লিনিদের রক্ষণ আটকাবে, তা নিয়ে আমি সন্দিহান। বেলজিয়াম ও স্পেন কিন্তু এটা ইটালির বিরুদ্ধে করে দেখিয়েছে।
দু’দলের দুই কোচেরই ফুটবলবোধ এবং দর্শন তীক্ষ্ণ। ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট জার্মানির বিরুদ্ধে তিন ব্যাক পদ্ধতিতে দলকে খেলিয়েছিলেন। কিন্তু সেমিফাইনালে ডেনমার্ক প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করতে পারে ভেবে ফিরে গিয়েছিলেন চার ব্যাকে। এ বার ইটালির আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করার প্রতিষেধকও নিশ্চয়ই মজুত রেখেছেন।
মানচিনিকে ইংরেজদের পাতা ফাঁদ এড়াতে গেলে মাঝমাঠে বল কেড়ে দু’-তিন পাসে আক্রমণ শানাতে হবে ইংল্যান্ড বক্সে।
ইউরোর ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র স্পেন, ইটালি, ফ্রান্স ঘরের মাঠে খেতাব জিতেছে। এ বার দেখার পালা সেই তালিকায় ইংল্যান্ডের নাম যোগ হয়, নাকি ৫৩ বছরের ট্রফি খরা কাটে ইটালির।