চোট পাওয়া হাতেই রুপো সঙ্কেতের। ছবি: রয়টার্স
সোনা জয়ের সঙ্কেত দিচ্ছিলেন তিনি। প্রায় ছুঁয়েও ফেলেছিলেন বার্মিংহাম কমনওয়েলথে দেশের প্রথম সোনার পদকটা। শেষ মুহূর্তে পদস্খলন। স্ন্যাচিংয়ে ১১৩ কেজি তুলে শীর্ষে থাকলেও ক্লিন এবং জার্ক বিভাগে সেই স্থান ধরে রাখতে পারলেন না। ক্লিন এবং জার্ক বিভাগে প্রথম চেষ্টায় ১৩২ কেজি তুললেও দ্বিতীয় বার ১৩৯ কেজি তুলতে গিয়ে হাতে চোট পেলেন। হার মানতে চাননি। চোট নিয়েই তৃতীয় বার ভার তুলতে এলেন। কিন্তু ব্যর্থ হলেন। রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে।
মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায় ভারোত্তোলন পরিচিত খেলা। সাংলিতে ছোটরা ভারোত্তোলন করবে, এটাই স্বাভাবিক ছবি। সেখানেই জন্ম সঙ্কেতের। বাবার পানের দোকান রয়েছে। ২২ বছরের সঙ্কেত ছোটবেলা থেকেই অনুশীলন শুরু করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে শুরু সঙ্কেতের ভারোত্তোলন।
সঙ্কেত প্রথম নজরে আসেন ২০২০ সালে। সিনিয়রদের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন তিনি। ২০২০ সালে খেলো ইন্ডিয়া গেমসেও সোনা পান সঙ্কেত। তাঁর সাফল্যের উত্থান সেখান থেকেই।
১৩ বছর বয়স থেকে শুরু সঙ্কেতের ভারোত্তোলন। —ফাইল চিত্র
তিন বারের জাতীয় সেরা সঙ্কেত। গত বছর সিঙ্গাপুরে ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় মোট ২৫৬ কেজি তুলে জাতীয় রেকর্ড গড়েন তিনি। স্ন্যাচিং বিভাগে তুলেছিলেন ১১৩ কেজি। এ বারের কমনওয়েলথ গেমসেও সেই ওজন তোলেন। ক্লিন এবং জার্ক বিভাগে তুলেছিলেন ১৪৩ কেজি। কমনওয়েলথে যদিও ১৩৯ কেজি তুলতে গিয়েই হাতে চোট পান সঙ্কেত। এই বছর ভুবনেশ্বরে সিনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিলেন তিনি। জায়গা করে নিয়েছিলেন কমনওয়েলথ গেমসে।
কমনওয়েলথে ৫৫ কেজি বিভাগে নেমেছিলেন সঙ্কেত। তাঁর থেকে সোনার পদকের আশা ছিল ভারতের। শেষ মুহূর্তের চোট সেই স্বপ্ন ভেঙে দিল। ২১ বছরের সঙ্কেতের স্বপ্ন বাবাকে বিশ্রাম দেওয়া। সেই চেষ্টাই করছেন সঙ্কেত। ২০২৪ সালে ফ্রান্স অলিম্পিক্সে তিনি নামবেন ৬১ কেজি বিভাগে। কমনওয়েলথে পাওয়া পদকের রংটা সেখানে বদলাতে চাইবেন।